বীরভূম: গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) এখনও তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এদিকে জেলে থেকেও নিস্তার পাচ্ছেন না বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’। এবার আয়কর দফতরের (Income Tax Department) স্ক্যানারে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কর না দেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠে এসেছিল ইডি ও সিবিআই-এর তদন্তে। এবার সেই নিয়ে কেষ্টর বীরভূমের বাড়িতে আয়কর দফতরের থেকে কারণ জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। যেহেতু কেষ্ট মণ্ডল ও তাঁর কন্যা বর্তমানে জেলবন্দি, তাই তাঁদের আইনজীবীরা এই বিষয়টি দেখবেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি, সেখানেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল। ইডি সূত্রের দাবি, আয়কর দফতর ও ব্যাঙ্কের নজরদারি থেকে গা বাঁচাতে বিভিন্ন কৌশলী চাল খেলেছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। ইডির তদন্তে উঠে আসা এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য ইতিমধ্যেই আয়কর দফতরের অফিসারদের হাতেও পৌঁছে গিয়েছে। সূত্রের খবর, যে পরিমাণ আয় তিনি করতেন, তার থেকে অনেক কম আয়কর জমা হত বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই এবার কারণ জানতে চেয়ে অনুব্রতর বীরভূমের বাড়িতে আয়কর দফতর নোটিস পাঠিয়েছে বলে খবর।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আয়কর নোটিস ইস্যুতে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধী শিবির। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডল যে সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন… তাঁকে ছোটখাটো সম্রাট বলা চলে। তৃণমূল আমলে আমরা অনেক সম্রাট বাংলায় দেখলাম। এঁরা যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বানিয়েছেন, দেখে মনে হচ্ছে এক এক জন লক্ষ্মণ সেনের বংশধর।”