বীরভূম: শীতের রাত তিনটে। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসেছিলেন সেই শব্দ শুনে। দেখেন রাস্তার ধারে ওষুধের দোকান ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছে। ভিতরে ঢুকে গিয়েছে দৈত্যাকার একটি ডাম্পার। ভোররাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে ওষুধের দোকানে ঢুকল ১৮ চাকা ডাম্পার। ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দরবেশ মোড়ে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাত তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনা হওয়ার জন্য কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওষুধের দোকানটি। জানা গিয়েছে, ১৮ চাকার ডাম্পারটি পাথর বোঝাই করে দুবরাজপুর দিক থেকে পাণ্ডবেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল। ডাম্পারটি প্রথমে ১১ হাজার ভোল্টের দুটি খুঁটিকে ধাক্কা মেরে উপড়ে ফেলে দেয়। তারপরও আর গতি আয়ত্তে আসে না চালকের। একটি গাছে ধাক্কা মেরে সোজা ঢুকে পড়ে ওষুধের দোকানে।
পাশের একটি আমগাছের কাণ্ডেও ক্ষত ছিল। তাতে মনে করা হচ্ছে, আম গাছে ধাক্কা মারার পর ওষুধ দোকানে ঢুকে যায় । সকালে ঘাতক ডাম্পারটি সরানো হয়েছে। তবে দুর্ঘটনার জেরে দরবেশ এলাকায় এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এলাকা। জোর গতিতে গাড়ি চলাচলের জন্যই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে দিয়েও ডাম্পারগুলো অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। ওষুধ দোকানের মালিক অমিত শর্মা জানান, ক্ষতিপূরণ না দিলে এখান থেকে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না। স্থানীয় দোকানি ও ব্যবসায়ীরা এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ঘটনাস্থলে রয়েছেন দুবরাজপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিক মুখোপাধ্যায়। তিনিও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছেন।