Nanur TMC leader: ‘পঞ্চায়েত ভোটে না জেতালে গ্রাম ছাড়তে হবে’, নানুরের নেতার গলায় ‘কেষ্টর বুলি’
Birbhum: শনিবারের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যক্তিগত এজেন্সি সিবিআই, ইডি দিয়ে আমাদের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছ। কালকে শুনতে পারেন আমাকেও জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। তবে তৃণমূল কর্মীরা বাংলা ছেড়ে যাবে না।'
নানুর: বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হতেই রাজ্যজুড়ে জেলায়-জেলায় পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা নকুলদানা, বাতাসা নিয়ে বাজারে নেমে পড়তেই একপ্রকার যেন রেগে লাল কেষ্টর অনুগামীরা। বীরভূমের নানুরে তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। বললেন, ‘আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে জিতলে আপনাদের কথা শুনবো, আর না জিতলে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে।’
অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে শনিবার তৃণমূলের তরফ থেকে রাজ্যজুড়ে মিছিল হয়। বাদ যায়নি অনুব্রত গড় বীরভূমও। এ দিন, বীরভূমের নানুরের দেবগ্রামে দাসকল গ্রাম কড়েয়া ১ ও দাসকল গ্রাম কড়েয়া ২ অঞ্চলে প্রতিবাদ মিছিল চলে। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নানুরেরে ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য, নানুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুসূদন পাল ও অন্যান্য তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
শনিবারের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যক্তিগত এজেন্সি সিবিআই, ইডি দিয়ে আমাদের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছ। কালকে শুনতে পারেন আমাকেও জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারে। তবে তৃণমূল কর্মীরা বাংলা ছেড়ে যাবে না।’ এরপর আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের তৃণমূল নেতার বার্তা, ‘২০১১ আগে বামফ্রন্টের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তাই আপনাদের যাঁদের রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে তাঁরা নীতি লুকিয়ে নয়, সদর্পে রাজনীতি করুন। কোনও একটা জায়গায় আপানাদের পছন্দ মতো যে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা টাঙিয়ে আসুন। রাজনৈতিক লড়াই হোক। কিছুদিনের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। প্রার্থীদের জেতাবেন, আপনাদের কথা শুনব। আর জেতাতে না পারলে আপনাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে।’
বস্তুত, মূলত অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর রাজ্যজুড়ে রাস্তায় নামে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। শুধু বিক্ষোভ নয়ই, শনিবার সকালে অনুব্রতর গ্রেফতারির প্রতিবাদে বীরভূমের সোনাঝুরির হাট একদিনের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় হাট কর্তৃপক্ষ। সেই মোতাবেক এ দিন সকাল থেকে খোয়াইয়ের ধার ছিল ফাঁকা। বসেনি পসরা। শোনা যায়নি বাউলের সুর। এরপর আবার প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা শোনা গেল তৃণমূল নেতার গলায়।