Anubrata Mondal: কেষ্ট ফিরতেই কি তলে-তলে শুরু খেলা? পদ থেকে সরানো হল কাজল অনুগামী তৃণমূল নেতাকে

হিমাদ্রী মণ্ডল | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 03, 2024 | 9:24 PM

Anubrata Mondal And kajal sheikh: এরই মধ্যে ঘটে গেল এই পদ খোয়া যাওয়ার ঘটনা। শেখ খয়রাতের বক্তব্য, কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখ এসেছিলেন। সেখানেই খয়রাত কাজলের সঙ্গে চা খান এবং গল্প করেন। এরপরে শনিবার তিনি জানতে পারেন তাঁর পদ আর নেই।

Anubrata Mondal: কেষ্ট ফিরতেই কি তলে-তলে শুরু খেলা? পদ থেকে সরানো হল কাজল অনুগামী তৃণমূল নেতাকে
পদ হারিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা শেখ খয়রাত
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

দুবরাজপুর: বীরভূমের রাঙা মাটিতে কেষ্টর পা পড়তেই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি ফের শুরু হবে কাজল শেখ অনুগামীদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের দ্বৈরথ? এমনকী কেষ্ট ফেরার পর এক মঞ্চে দেখা যায়নি তৃণমূলের এই দুই নেতাকে। তবে ঠান্ডা লড়াই ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে? এই সকল একাধিক প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অলিগলিতে, সেই সময় আবার পদ গেল বীরভূমের এক নম্বর ব্লকের ভুরকুনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লালমোহনপুর গ্রামের ছ’নম্বর বুথের সভাপতির। সদ্য প্রাক্তন বুথ সভাপতি শেখ খয়রাতের দাবি, কাজল শেখের সঙ্গে বসে চা খাওয়ায় পদ খোয়া গিয়েছে তাঁর।

বস্তুত, বীরভূমের রাজনীতিতে অনুব্রত-কাজলের দ্বৈরথ কারও অজানা নয়। কেষ্ট যে সময় জেলে ছিলেন সেই সময় প্রায় একাই রাঙামাটিতে ‘রাজত্ব’ করেছেন কাজল। রাশ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকলেও কাজলের অনুগামীদের কাছে খানিকটা হলেও ‘ব্যাকফুটে’ ছিলেন কেষ্টর অনুগামীরা। এমনটাই মনে করেন রাজনীতিকরা। তবে বর্তমান চিত্র বদলেছে। অনুব্রত ফিরেছেন। দলের নেত্রীর নির্দেশও গিয়েছে কোর কমিটিকে নিয়ে কাজ করতে হবে। এমনকী খোদ কেষ্ট প্রতিটি সভা থেকে একসঙ্গে কাজের বার্তা দিয়েছেন। সবই হচ্ছে তবে কাজল-কেষ্টকে এখনও দেখা যাচ্ছে না এক মঞ্চে।

এরই মধ্যে ঘটে গেল এই পদ খোয়া যাওয়ার ঘটনা। শেখ খয়রাতের বক্তব্য, কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখ এসেছিলেন। সেখানেই খয়রাত কাজলের সঙ্গে চা খান এবং গল্প করেন। এরপরে শনিবার তিনি জানতে পারেন তাঁর পদ আর নেই। খয়রাত এও অভিযোগ করেছেন, ওই এলাকায় অঞ্চল সভাপতি সহ অন্যান্য নেতা অন্যায় করলে তিনি প্রতিবাদ করতেন। তাঁর দাবি, রবিবার সিউড়িতে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে এই সকল নেতারা সাক্ষাৎ করেন। চলে রাজনৈতিক আলোচনা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, এরপরেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

শেখ খয়রাত বলেন, “আমার তো অন্যায় নেই। বুঝতেই পারছি না কেন পদ গেল। এখানকার যে অঞ্চল সভাপতি রয়েছে বিনয় চৌবে উনিই বুথের নেতৃত্ব দেন। কোনও প্রতিবাদ করতে গেলেই বলে তোকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এমনকী এমএলএ বিকাশ রায় চৌধুরী উনিও আছেন। এখানে একটি কালীপুজো হয়। সেখানে বিকাশবাবু আর কাজল শেখের আসার কথা ছিল। আমরা গিয়েছিলাম কর্মী হিসাবে। আমরা কী জানি কে আসবে না? কাজলদা এসেছিলেন চা খেয়েছিলাম। এখন ওরা বলছে এটাই অপরাধ। আমি তো বুঝতেই পারছি না কাজলদার সঙ্গে যদি চা খাই তাহলে পদ চলে যাবে? তৃণমূল ভবনে মিটিং করেছে। কেষ্টদা এসেছিলেন। অন্যবার মিটিংয়ে আমায় ডাকে। এবার ডাকেনি।”

তবে কি কাজলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাতেই পদ খোয়াতে হল খয়রাতকে? অনুব্রত ফেরার পর আবারও বীরভূমে কি মাথাচাড়া দিচ্ছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল? উঠছে প্রশ্ন।

Next Article