বীরভূম: ধানজমিতে বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যুতে তুলকালাম বীরভূমের রেঙ্গুনিগ্রামে। দেহ আটকে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। এমনকী বিদ্যুৎ দফতরের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ,চাষের জমিতে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক ওই তারটি ঝুলে ছিল। বারবার বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এর ফলেই আজ মর্মান্তিক পরিণতি ওই দুই শ্রমিকের। এ দিকে, এলাকাবাসীর বিক্ষোভের জেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সদাইপুর থানার পুলিশ। তারা গিয়ে সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে চাইলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অভিযোগ, রীতিমত তাড়া করে এলাকা থেকে পুলিশকে বের করে দেন গ্রামবাসীরা।
ঘটনার সূত্রপাত…
রবিবার সকালবেলা ধান কাটার মেশিন নিয়ে ধান জমির উপর থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন দুই শ্রমিক। সেখানেই পরে ছিল ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার। সেই তারে লেগেই মৃত্যু হয় দু’জনের বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। খবর চাউর হতে দলে-দলে বেরিয়ে পড়েন গ্রামবাসী। দেহ আটকে রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বারবার বিদ্যুৎ দফতরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কৃষকদের চাষ করতে খুবই অসুবিধা হয় এই তারটি ঝুলে থাকার কারণে। বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে আগেই তারা বিদ্যুৎ দফতরে জানান যাতে সমস্যার সুরাহা হয়। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এরপর আজ দুই শ্রমিকের মৃত্যু ক্ষুব্ধ হন তাঁরা। মৃতদের নাম এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে তাঁরা বিহারের বাসিন্দা। এ দিন গ্রামবাসীরা দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ আধিকারিকরা গ্রামে ঢুকতেই তাঁদের তাড়া করার অভিযোগ ওঠে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ আধিকারিক ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাও বলেন গ্রামবাসী। নতুন করে কোনও রকম অশান্তি যাতে না বাধে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “বিষয়টি একটি দুর্ঘটনা। আর দুর্ঘটনা যখন তখন ঘটতে পারে। আমাদের প্রশাসন যথেষ্ঠ তৎপর। পুলিশ যথেষ্ঠ তৎপর। প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে উদ্যোগ নিচ্ছে।”