বীরভূম: কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা আগেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের (Rampurhat Medical College Hospital) রোগী পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ও সাংসদ। হাসপাতালে দালালচক্রের রমরমা, এমনকী সেইসব দালাল সরকারি হাসপাতালের রোগী ভাঙিয়ে নার্সিংহোমে ও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত মাল, শতাব্দী রায়দের। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দীর রায়, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল।
আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত মাল, শতাব্দীর রায়রা রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রোগী পরিষেবা একদম তলানিতে ঠেকেছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের। মূলত, এসএসকেএমের পরিষেবা নিয়ে মদন মিত্রের প্রশ্ন তোলা এবং তা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে যখন কার্যত তোলপাড় চলছে, সেই সময় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের মতো বীরভূম জেলার গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে রবিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সাংসদ, বিধায়করা। ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকরাও ছিলেন। সেখানেই আলোচনা হয় এই সমস্ত বিষয়ে। তিনি জানান, হাসপাতালে দালালরাজ রমরমিয়ে চলছে। তা বন্ধ করতে হবেই। পাশাপাশি বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল জানিয়েছেন, রোগী ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। ক্ষোভ উগরে দিয়ে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “আমি ফোন করার পরও কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী হচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। যা যা অভিযোগ রয়েছে আমরা আলোচনা করেছি। প্রতি ২ মাস পর আমরা রিভিউ মিটিং করব। দালালচক্রও বন্ধ হবে।”