বীরভূম: বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন শিবঠাকুর মণ্ডল। দুবরাজপুরে সেই শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী। এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে শিবঠাকুরের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠল তাঁর কাকা তথা বিজেপি প্রার্থী দীপক মণ্ডল ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন শিবঠাকুর। যদিও, এখনও পর্যন্ত দীপক মণ্ডল ও তাঁর অনুগামীদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জানা গিয়েছে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মূলত এই ঝামেলা। তার জল গড়ায় রাজনীতি পর্যন্ত। মঙ্গলবার সকালে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে মাছ ধরার একটি অনুষ্ঠান ছিল তাঁদের বাড়ির পুকুরে। এরপর বচসা বাধে। শিবঠাকুরের অভিযোগ, তখনই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল যাতে বালিজুরি পঞ্চায়েত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্তরা। এরপর মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় শিবঠাকুরের। পরে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিজের চিকিৎসরা পর অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এই বিষয়ে শিবঠাকুর মণ্ডল বলেন, “আমারও পুকুরের ভাগ রয়েছে। আর দীপক মণ্ডল তাঁদের মাছ দিচ্ছিল যাঁদের ভাগ নেই। অর্থাৎ যাঁরা বিজেপি করে তাঁদের মাছ দিচ্ছিল। আমি বললাম ওরে আজ রথের দিন যদি মাছের ভাগ দিচ্ছিস তাহলে সকলেই দে। এটা বলতেই আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে। আর সবটা প্রভাত মণ্ডলের চক্রান্তে হয়েছে।” যদিও, এই বিষয়ে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, “মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ শিবঠাকুরই দিয়েছিলেন। উনি হুমকি দিয়েছেন। মিথ্যে কথা বলেছেন। ওনার স্ত্রী হেরে যাবে জেনে এখন এই কথা বলেছেন।”
বস্তুত, যে জায়গা থেকে তৃণমূলের হয়ে লিপিকা মণ্ডল দাঁড়িয়েছেন সেই একই জায়গা থেকে বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন শিবঠাকুরের কাকা। সেই কারণেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি শিবঠাকুরের। উল্লেখ্য, এই শিব ঠাকুর মণ্ডলই একসময় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা করেছিলেন। তবে বিরোধীরা সেই সময় বারংবার বলে এসেছিল যে দিল্লি যাওয়া আটকাতে সবরকম চেষ্টা করেছিলেন শিবঠাকুর। তৃণমূল তারই পুরস্কার দিয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এলাকার লোকজন তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন, দল তাতে অনুমোদন দিয়েছে মাত্র।