Shibthakur Mondal: পুরস্কার? অনুব্রতর নামে অভিযোগকারী সেই শিবঠাকুরের স্ত্রী এবার তৃণমূলের প্রার্থী
Birbhum: শিবঠাকুর মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। সে সময় গরুপাচার মামলায় আসানসোল সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি ছিলেন বীরভূমের কেষ্ট।
বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের হুমকির অভিযোগ তুলেছিলেন শিবঠাকুর। দুবরাজপুরের সেই শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল এবার পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী। বৃহস্পতিবার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন ব্লক অফিসে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে আসেন দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল। বিরোধীরা বলছে, অনুব্রতকে দিল্লি যাওয়া আটকাতে সবরকম চেষ্টা করেছিলেন শিবঠাকুর। তৃণমূল তারই পুরস্কার দিয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এলাকার লোকজন তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন, দল তাতে অনুমোদন দিয়েছে মাত্র।
শিবঠাকুর মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। সে সময় গরুপাচার মামলায় আসানসোল সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি ছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। যেদিন সকালে দুবরাজপুর পুলিশ অনুব্রতকে গ্রেফতার করে, সেদিন দিল্লি আদালতের নির্দেশে অনুব্রতকে ইডি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। দুবরাজপুর পুলিশের হাতে অনুব্রত শ্যোন অ্যারেস্ট হওয়ায় সে সময় তা সম্ভব হয়নি। আসানসোলের জেল থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে আনা হয়েছিল দুবরাজপুরে। পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে যদিও জল গড়ায় বহু দূর। আপাতত দুবরাজপুর থেকে দিল্লির তিহাড়ে দিন কাটছে অনুব্রতর।
এদিকে সেই শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রী লিপিকা মণ্ডল তৃণমূলের প্রার্থী। এ বিষয়ে বীরভূম জেলার সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ জানান, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়েছিল। তাই তৃণমূল এই পুরস্কার দিল। আসলে অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লিযাত্রা আটকাতে এটা করা হয়েছিল। একই বক্তব্য বিজেপিরও। এ বিষয়ে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের তিহাড় জেলে যাওয়া আটকাতে তৃণমূলের নির্দেশেই অভিযোগ করেছিলেন শিবঠাকুর মণ্ডল। আর সে কারণেই পঞ্চায়েতের টিকিট দিয়ে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে শিবঠাকুর মণ্ডলের স্ত্রীকে। যদিও বীরভূম জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এসব কথার কোনও ভিত্তি নেই। দল স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। এলাকার লোকজন তাঁকে যোগ্য প্রার্থী মনে করেছেন, তাই দল তাঁকে প্রার্থী করেছেন।”