Birbhum: সোনাঝুরি হাটের ভবিষ্যৎ কী? জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ
Birbhum Sonajhuri Haat: সোনাঝুরির হাট বসে বন দফতরের জায়গায়। ওই জমি থেকে সোনাঝুরির হাট সরানো নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলছে। ওই মামলার দিকে নজর রেখেছে রাজ্য সরকার। মামলার নিস্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে রাজ্য। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বীরভূম: বোলপুরে ঘুরতে গিয়ে সোনাঝুরির হাটে যাননি, এমন পর্যটকের সংখ্যা খুঁজে পাওয়া মুস্কিল। শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটে কেনাকাটার জন্য ভিড় করেন পর্যটকরা। সেই সোনাঝুরির হাট কি এবার অন্য জায়গায় সরে যাচ্ছে? প্রশ্নটা অনেকদিন থেকেই উঠছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরাও এই নিয়ে চিন্তিত। এবার সোনাঝুরির হাট সরে যাওয়া নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। কী বললেন তিনি? সবটাই হাইকোর্টের নির্দেশের উপর ছেড়ে দিলেন।
সোনাঝুরির হাট বসে বন দফতরের জায়গায়। ওই জমি থেকে সোনাঝুরির হাট সরানো নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলছে। ওই মামলার দিকে নজর রেখেছে রাজ্য সরকার। মামলার নিস্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে রাজ্য। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আদালত সোনাঝুরির হাট সরানোর নির্দেশ দিলে হাটের জন্যে বিকল্প জমি খোঁজার পাশাপাশি বীরভূমের আহমেদপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া চিনি কারখানায় একটি ‘বাণিজ্য উদ্যান’ গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে রাজ্যের।
শুক্রবার বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প দফরের উদ্যোগে সিনার্জি ও বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে এসে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “সোনাঝুরির হাট চলছে। আদালতে মামলা চলছে। এখানে একটা হাট হচ্ছে। সোনাঝুরির আদলে এই হাট হচ্ছে। কিন্তু, সোনাঝুরির হাট সরবে কি না, সেটা আমি কী করে বলব। আদালত বললে থাকবে।” এই বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডল। সোনাঝুরির হাটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন তিনি। তবে বীরভূমে শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। বললেন, “বীরভূমে শিল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এতে আমার খুব আনন্দ হচ্ছে। আমি মনে করি, আরও উন্নয়ন হবে।”
