কোচবিহার: সাত সকালে মাছ বিক্রি করতে গিয়ে এক ব্যবসায়ী দেখতে পান ফাঁকা ঘরে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। কোথাও কারা দেখা নেই। এই দৃশ্য দেখেই শিউরে ওঠেন ওই মাছ ব্যবসায়ী। অপেক্ষা না করে প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। ঘরের দরজা তখনও বন্ধ। ফলে ভিতরে কী হচ্ছে, তা বোঝার উপায় ছিল না। এরপর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে যান প্রতিবেশীরা। ভিতরে গিয়ে সব দেখে শিউরে ওঠেন তাঁরা।
কোচবিহারের দাওয়াগড়ি এলাকার ঘটনা। সোমবার সকালে ওই ঘরে ঢুকে দেখা যায়, শোকেসের মধ্যে কম্বলে মোড়া বৃদ্ধের দেহ। রক্ত তখনও পড়ে রয়েছে ঘরে। ফলে, খুন করে দেহ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা বুঝতে কোনও অসুবিধা হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। বাড়ির চারপাশ দেখতে গিয়ে উদ্ধার হয় আরও এক মৃতদেহ।
খুন হওয়া বৃদ্ধ বিজয় বৈশ্যেক ছেলের নাম প্রণব বৈশ্য। তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশের অনুমান, ছেলেই খুন করেছেন বাবা ও পিসতুতো দাদাকে। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে যাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই দাদা গত এক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃত দাদার নাম গোপাল।
এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, বাবাকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করতেন তাঁর ছেলে প্রণব। মারধর করতেন বলেও অভিযোগ। প্রণবের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কয়েক মাস আগেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।