AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud Case: ঘটি-বাটি বেচে ঘুষ দিয়েছিল, চাকরি না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ২ যুবক

Fraud Case: আগামী সপ্তাহেই মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে আলাদাভাবে সমস্ত প্রমাণ-সহ চিঠি পাঠাবেন তাঁরা। প্রয়োজনে তাঁরা টাকা ফেরতের জন্য কলকাতায় এসে অভিষেকের অফিসে অভিযোগ জানাবেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

Fraud Case: ঘটি-বাটি বেচে ঘুষ দিয়েছিল, চাকরি না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ২ যুবক
কোচবিহারে প্রতারিত দুই যুবক
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2023 | 4:59 PM
Share

কোচবিহার: স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। চাকরি তো জোটেই নি কপালে, জমি-সোনাদানা, বাইকবিক্রি করে যে টাকা ওই হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে দিয়েছিলেন, তা-ও ফেরত পাচ্ছেন না। টাকা ফেরতের দাবিতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা কালমাটি গ্রামের বাসিন্দা আসকর আলি মণ্ডল ও আশরাফুল আলম মল্লিক নামে ওই দুই যুবক। একাধিকবার প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে টাকা ফেরত না পেয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন প্রতারিত দুই যুবক। টাকা ফেরতের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে চলেছেন সীমান্ত গ্রামের প্রতারিত ওই দুই যুবক।

আগামী সপ্তাহেই মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কাছে আলাদাভাবে সমস্ত প্রমাণ-সহ চিঠি পাঠাবেন তাঁরা। প্রয়োজনে তাঁরা টাকা ফেরতের জন্য কলকাতায় এসে অভিষেকের অফিসে অভিযোগ জানাবেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, দিনহাটা ২নম্বর ব্লকের বামনহাট দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালমাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন মল্লিক তাঁদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। গ্রামের হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হওয়ায় এলাকায় তাঁর ভাল পরিচিতি ছিল। অভিযোগ, সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে কালমাটি গ্রামের দুই যুবক আসকর আলি মণ্ডল ও আশরাফুল আলম মল্লিকের কাছে ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ওই শিক্ষক। দু’জনের কাছ থেকে ১২ লক্ষ করে ২৪ লক্ষ টাকা নেন বলেও অভিযোগ।

চাকরি যখন পাচ্ছিলেন না, একাধিকবার তাঁর দরজায় ঘোরার পর ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের কোনও সরকারি চাকরি না হওয়ায় ওই হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককের কাছে টাকা ফেরত চান। অভিযোগ, সেই টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না প্রধান শিক্ষক।

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে জুলাই মাসে জেলা শাসক, জেলা পুলিস সুপার, মহকুমা শাসক ও বিডিওকেও লিখিত অভিযোগ জানান তাঁরা। তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন দিনহাটার সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই প্রতারিত যুবক।

প্রতারিত আসকর আলি বলেন, “আমাদের গ্রামের কালমাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন মল্লিক প্রাইমারিতে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। জমি, বাইক, স্ত্রীর সোনার গহনা বিক্রি করে তাঁকে টাকা দিয়েছি।”

আরেক আশরাফুল আলম মল্লিক বলেন, “কালমাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন মল্লিক আমার কাছ থেকেও ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন চাকরি দেওয়ার নাম করে। অনেকের কাছেই তিনি চাকরির নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।” অভিযুক্ত কালমাটি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন মল্লিক বলেন, “সব মিথ্যা অভিযোগ। এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।” তবে টাকা দিয়ে চাকরি পেতে চেয়েছিলেন ওঁরা, সেটাও তো কারোর না কারোর সঙ্গে প্রতারণাই সামিল? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।