বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গে ভোটের প্রচারে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে আজ সেখানে সভা করছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “অনন্ত অধিকারী যার প্রেসিডেন্ট। হলদিবাড়ি আমাদের করা। কোচবিহার হেরিটেজ আমরা করেছি। আগামী দিনে কোচবিহারের নাম জ্বলজ্বল করে জ্বলবে। আর বিজেপি হিংসা করবে।”
একনজরে সকল আপডেট দেখুন…
দেশকে জেলখানা বানিয়েছে। অভিষেকের একটা মিটিংয়ে যাওয়ার কথা ছিল। বাবুরা সেখানে চলে গেছে। হেলিকপ্টারে নাকি সোনার টাকা নিয়ে আসছে। ওই আমরা করি না। বিজেপি করে। ওরা বিএসএফ-সিআইএসএফ আনে। এরা প্লেনে আনে। কোনও পুলিশের সাহস হয়েছে চ্যালেঞ্জ করার? আমরা এই সব নিয়ে ঘুরি না। আমরা সিস্টেমে চলি। টাকা টাকা না মায়ের কাছে গিয়ে বলব মা গো টাকা দাও।
আমি জিনিসের দাম বাড়াইনি। সবচেয়ে বেশি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ২ কোটি লোকের চাকরি দেবো বলেছে । কজনের দিয়েছে। ইলেকশনের পরেও টাক্স বাড়বে না।
এই দশ বছরে কী দিয়েছ বাংলাকে? আমি তো সাজিয়ে দিয়েছিলাম। বাবুরা সব কিছু তুলে দিয়েছে । ট্রেনকে রং করে চালিয়ে দেখাচ্ছে। সবাই নাগরিক। আপনারা সকলেই নাগরিক।
বলছে আয়ুষ্মান ভারত করেনি। কেন করব? একটা স্কুটার যার তাকে দেবে না। এই রকমভাবে করলে কতজন পেত? আমরা এই সব দেখি না। মে মাসে সরকারি কর্মীরা আরও চার শতাংশ ডিএ পাবেন। অঙ্গনওয়াড়িদের টাকা বাড়িয়েছি। আশাকর্মীরা অনেক কাজ করেন। হেল্পারদের টাকা বাড়িয়েছি।আমরা অনেকের ভাতা বাড়িয়েছি ।সাম্মানিক বাড়িয়েছি।রেলের যত কাজ হয়েছে সব আমার করে দেওয়া।
হঠাৎ বাবু একদিন প্লেনে করে চড়ে এলেন। গুন্ডা নিয়ে ঘুরছে। ১৭ তারিখ বেলা পাঁচটার পর কোনও বাইক মিছিল হবে না। এটা আমরাও মানি।
মোদীজী বলছেন না, চুনকে চুনকে দেখলেঙ্গে অর জেলমে ভরেঙ্গে। আমি বলছি, আপনি তো আসবেন না। ১০০ দিনের টাকা আমরা দিয়েছি। আরা ৫০দিনের টাকা দিয়েছি।৬ ০ দিনের চেষ্টা করব। ঘর যাদের নষ্ট হয়েছে তাদের নির্বাচনের পর ঘর বানিয়ে দেব।
বেঙ্গলে একা লড়াই হচ্ছে বিজেপির সঙ্গে। কংগ্রেস, বামেরা ভাই ভাই খেলছে বিজেপির সঙ্গে। কেরলে কংগ্রেস সিপিএম-এর কুস্তি। এখানে মস্তি। মতাদর্শ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন হতে পারে না। আমি বলেছিলাম ঠিক করো। ওরা শোনেনি। গোটা ভারতের রাজনীতি আমরা ঠিক করব।
সেলফ হেলফ গ্রুপের মেয়েদের লোন বাড়বে। টাকাই দেন না। লোন বাড়াবেন। যা করি আমরা করি। আমাদের সেলফ হেলফ গ্রুপের সংখ্যা ৯০ লাখ।
এখানকার প্রার্থী গুন্ডার মাফিয়াদার। তিনি আবার আপনাদের বিপদে ফেলবে। আমাদের শান্তি রক্ষা করতে হবে। ওরা চায় দাঙ্গা করে এনআইএ ঢুকিয়ে দিয়ে ভোট করবে। ভিভিপ্যাটে-ইভিএম মেশিনে চিকটা কে তৈরি করেছে। সবাই জানতে চাইছে। কেন কোনও উত্তর নেই কমিশনের। মানুষের ভোটের দাম অনেক বেশি।
এই নির্বাচন যে সে নির্বাচন নয়। দেশকে স্বাধীন রাখতে হয় বিজেপে হঠাও। নাহলে দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। আজ ইতিহাস, ভূগোল, গুলিয়ে দিয়েছে। কেন করবে? খুব সাংঘাতিক পরিস্থিতি দেশের। নির্বাচন এলেই যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা খেলবে। দাঙ্গা করার জন্য রেডি হয়ে গেছে।
আপনি কী খাবেন লিখে দেবে। চা খাও চায়ের সঙ্গে গোমুত্র খাও। দুপুরবেলায় বলবে গোবরের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাও। সন্ধ্যেবেলায় কী খাবেন তাও বলে দেব। আপনি কত ঘণ্টা ঘুমোবেন তাও বলে দেবে। আমাদের এখানে বাসন্তী পুজো, দুর্গাপুজো হয়। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন মানে দেশে নির্বাচন হবে না। রাজ্য থাকবে না। এটা স্বৈর সন্ত্রাস সরকার যুক্ত হবে।
আপনারা দেখেছেন কালকে ম্যানিফেস্টোয় কী বলেছে? আমি যেটা আগে বলি পরে সেটা অনেকে বোঝে। যখন আমি আগে বলে অনেকে আমায় ভুল বোঝে। মাছের মাথা হল ক্যা, ল্যাজা এনআরসি। কালকে ম্যানিফেস্টোয় রেখেছে কি রাখেনি? বিজেপি ক্ষমতায় এলে আদিবাসীদের অধিকার থাকবে না। সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব থাকবে না, হিন্দুদেরও থাকবে না।
চ্যালেঞ্জ করে বলছি বাংলা চোর নয়, বাংলা ডাকাত নয়, বাংলা দাঙ্গাবাজ জায়গা নয়। এটা আপনি আর আপনার দল। একটা মিথ্যাবাদীর দল। আগেরবার বলল ১৫ লক্ষ টাকা দেব। কেউ কোনও টাকা পেয়েছেন? এই মিথ্যা কথার উত্তর দেবে কে?
তিনশো টিম পাঠিয়েছেন। কিছু ধরতে পারলেন? তিন বছর ধরে একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করলেন কেন? এটা সংবিধানের অধিকার। আপনি সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। দুর্নীতির কথা বলেছেন? আমি চ্যালেঞ্জ করলাম, ক্ষমতা থাকলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। তাতে বাংলায় কোথায় কত দুর্নীতি হয়েছে সব রিপ্লাই দেওয়ার পর আপনার কমিশনের রিপোর্ট, এজির রিপোর্ট ঘোষণা করুন। সঙ্গে উত্তর প্রদেশ, গুজরাটেরটাও প্রকাশ করুন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয় আপনি এলেন। রাশমাঠে বক্তৃতা করলেন। এর আগে ঝড় হয়ে গিয়েছে। আমি ভাবলাম একবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মানুষের কথা বলবেন। না আপনি বললেন না। আপনি দুটো কথা বলে গেলেন। তৃণমূল নাকি দুর্নীতিবাজ পার্টি। আমি আপনাকে বলি আপনার পার্টি বড় ডাকাতের দল। আয়নায় নিজের মুখ দেখুন।
আপনারা জানেন আমার রাজনৈতিক জীবনের অনেক কর্মসূচি কোচবিহারে করেছি। নার্স বর্ণালী দত্তের ঘটনা। রোগীরা আমায় নিয়ে এসেছিল। সেদিন কিন্তু কেউ ছিল না। সিপিএম ক্ষমতায় থাকলেও আসত না। আমি কখনও মাথাভাঙা, নাটাবাড়ি, শীতলকুচি, ঘুরেছি। ১৯৬৬ সাল থেকে ট্রেন লাইন বন্ধ ছিল। আমি চালু করেছি।
গরমে ভোট করতে হয়। এটা আমরা ঠিক করি না। বিজেপির সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে। তাও আমরা মেনে নিই। এটা কর্তব্য তাই।