কোচবিহার: মুজিব সরকারের শতবর্ষে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর নতুন অধ্যায় শুরু হয়। বুধবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল মিতালি এক্সপ্রেস। এরপর শুক্রবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে ফিরল এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি। সফলভাবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে ফিরল মিতালী।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে মিতালী। এ দিন, সকাল ৬টায় সীমান্তের গেট পেরিয়ে হলদিবাড়ি স্টেশনে ট্রেনটির ঢোকার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা লেটে হলদিবাড়ি স্টেশনে পৌঁছায় মিতালী এক্সপ্রেস। তার আগে এ দিন সীমান্তের গেটে বিএসএফের তরফে পুরো ট্রেনটি চেকিং করা হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভারতের সময় অনুযায়ী রাত ৯টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভারতের এনজেপির উদ্দেশে প্রথম যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। ভারতীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে ট্রেনটিতে মাত্র আটজন যাত্রী নিয়ে এসেছে। এরমধ্যে পাঁচজন ভারতীয় ও তিনজন বাংলাদেশী রয়েছেন।
এ দিন, বাংলাদেশের ইঞ্জিন ও লোকো পাইলট সহ ট্রেনটি হলদিবাড়ি স্টেশনে পৌঁছানোর পর লোকো পাইলট সহ ইঞ্জিনটি পুনরায় বাংলাদেশে ফিরে যায়। এরপর সকাল ৯টা ২৭মিনিট নাগাদ ভারতীয় ইঞ্জিন নিয়ে এনজেপির উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।
এ দিকে, শুক্রবার মিতালী এক্সপ্রেস দেখতে হলদিবাড়ি স্টেশনে উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি জোরদার ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। গোটা হলদিবাড়ি স্টেশন চত্বরে রেল পুলিশ সহ হলদিবাড়ি থানার আইসি ডিজি ভুটিয়ার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল।
বস্তুত, বুধবার ভারত থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে প্রথম রওনা দেয় মিতালী এক্সপ্রেস। ওইদিন ট্রেনটির উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এই নতুন যাত্রাপথ বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতকে জুড়বে বলে জানানো হয়েছে রেল মন্ত্রকের তরফে। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের মানুষ অনেক কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন ঢাকায়। এর মাধ্যমে বাণিজ্যের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এটি পঞ্চম রেল যোগাযোগ। রেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই ট্রেন চালু হওয়ায় দূরত্ব কমছে অন্তত ৭০০ কিলোমিটার, ৭ ঘণ্টা কম সময় লাগবে বাংলাদেশ পৌঁছতে। তাই এই দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।