কোচবিহার: দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের নার্সিং হোস্টেলের আবাসিকারা। বাইরে অন্তর্বাস শুকোতে দিলেই চুরি! রোজ নার্সদের অন্তর্বাস নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, যখন-তখন হস্টেলের উড়ে আসছে ঢিল। দিন-রাত এইরকম নানা উৎপাতে নাজেহাল তাঁরা। বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তাই সোজা নালিশ করেছিলেন মন্ত্রীর কাছে। এদিন সেই মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের নার্সিং হোস্টেলে সরজমিনে ঘুরে দেখলেন শিক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী পরেশ অধিকারী।
নার্সদের অভিযোগ, বহিরাগত কিছু যুবকদের উৎপাতে তাঁরা নাজেহাল। যখন-তখন তারা হস্টেলের পাঁচিল টপকে জানালায় টোকা মারছে, তাঁদের দেখে সিটি মারছে। আবার কোনও সময় ঢিলও ছুড়ছে। এখানেই শেষ নয়। এমনকি পাঁচিল ডিঙিয়ে হস্টেলের ছাদে উঠে আসছে এই যুবকরা। রোদে শুকেতে দেওয়া নার্সদের অন্তর্বাস নিয়ে চলে যাচ্ছে এই দুষ্কৃতীরা। এখন এমন অবস্থা যে রাতে বাথরুমে যেতেও ভয় পাচ্ছেন তাঁরা!
আবাসিকাদের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বলেও হস্টেলে কোনও সিসিটিভির বন্দোবস্ত করা হয়নি। এর মধ্যে প্রবল উদ্বেগ ও নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা।
অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে মেখলিগঞ্জ প্রশাসন। শুক্রবার সকালে স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র অধিকারী ও হাসপাতাল সুপার কাশিনাথ পাঁজা হস্টেলে গিয়ে কথা বলেন আবাসিকাদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: মাংস কাটার ছুরি দিয়ে মেয়ের গলায় কোপ! খুনের চেষ্টার অভিযোগ সৎ বাবার বিরুদ্ধে
এ বিষয়ে পরেশ চন্দ্র অধিকারী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন সকালে তিনি নার্স হস্টেল পরিদর্শনে যান। আবাসিকরা সত্যিই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। পরেশবাবু বলেন হস্টেলের সুপারকেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যেন আর না হয় সেজন্য পার্শ্বস্থ থানাকেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।