Uttarkashi Tunnel: মানিকের কণ্ঠস্বর শোনার জন্য অধীর অপেক্ষায় কোচবিহারের তালুকদার পরিবার
Uttarkashi Tunnel: তুফানগঞ্জের বলরামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকাডরা গেরগেন্দার পাড় এলাকার বাসিন্দা মানিক তালুকদার। ৬ মাস আগে হায়দরাবাদের এক সংস্থার তরফে ওই সুড়ঙ্গে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি।
কোচবিহার: আলো-বাতাসহীন টানেলে কেমন আছেন মানিক? এই চিন্তাতেই ১৬ টা রাত কাটিয়ে ফেলেছে কোচবিহারের তালুকদার পরিবার। অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসে গিয়েছে। সব ঠিক থাকলে সুখবর আসতে পারে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। তবু উৎকণ্ঠা কমছে না পরিবারের সদস্যদের। প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই ওই পরিবারের। কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মানিকের স্ত্রী। আপাতত ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
মানিকের বাবা বলেন, ‘সব খবর শুনে আমরা অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছি। মনে একটু শান্তি আসছে। আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। ও সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে এলেই আমরা খুশি হব।’ মানিকের স্ত্রী শুধু বলেন, সুখবর যেন তাড়াতাড়ি আসে। এটুকুই চাই।
তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন বিডিও। তিনি জানিয়েছেন, জেলাশাসক প্রশাসনিক আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন। উদ্ধারের পর যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্য করবেন তাঁরা।
তুফানগঞ্জের বলরামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকাডরা গেরগেন্দার পাড় এলাকার বাসিন্দা মানিক তালুকদার। ৬ মাস আগে হায়দরাবাদের এক সংস্থার তরফে ওই সুড়ঙ্গে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। ধস নামার পর বাকিদের সঙ্গে সেই অন্ধকার সুড়ঙ্গেই আটকে পড়েন তিনি।
শুধু মানিক নন, বাংলার আরও দুই শ্রমিক আটকে আছেন ওই সুড়ঙ্গে। তাঁরা দুজনেই হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা। তিনজনকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই উত্তরকাশীতে পৌঁছেছে রাজ্য সরকারের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।