Threat culture allegation: ‘কেন ব্রট ডেড দেখালে, বারবার বলতে থাকেন MSVP’, বিস্ফোরক ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক

Suman Kalyan Bhadra | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Sep 25, 2024 | 8:05 PM

Threat culture allegation: এরপরই এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন এমএসভিপি রাজীব প্রসাদের কথা তোলেন চিকিৎসক তনয় মহন্ত। তিনি বলেন, "কয়েকজন পড়ুয়াকে নিয়ে আসেন তৎকালীন MSVP। ছাত্রীকে কেন ব্রট ডেড দেখানো হল, তা জানতে চান। বারবার বলেন, কেন ব্রট ডেড দেখানো হয়েছে। আমাকে বলেন, কেন ব্রট ডেড দেখালে।"

Threat culture allegation: কেন ব্রট ডেড দেখালে, বারবার বলতে থাকেন MSVP, বিস্ফোরক ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কোচবিহার: আরজি কর কাণ্ডের পর প্রকাশ্যে আসছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের ঘটনা। এই অবস্থায় কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে বছর খানেক আগে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। ২০২৩ সালের জুনে হস্টেলে নিজের ঘরে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ডাক্তারি ছাত্রী। র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। এবার ছাত্রীর ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বললেন, হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে কেন ব্রট ডেড দেখানো হল, তা নিয়ে চাপ দিচ্ছিলেন তৎকালীন এমএসভিপি।

বছর খানেক আগে ওই ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন চিকিৎসক তনয় মহন্ত। টিভি৯ বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেদিনের ঘটনা বর্ণনা করে ময়নাতদন্তকারী এই চিকিৎসক বলেন, “ময়নাতদন্তের মতামত শেয়ার করতে পারি না। তবে এটুকু বলতে পারি, ওই ছাত্রীর পরিবারের অনুরোধে দেহ একদিন সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।” ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। তাঁর বাবা-মার আসার জন্য একদিন দেহ সংরক্ষণে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। চিকিৎসক তনয় মহন্ত বলেন, “আমি পুলিশকে জানাই, আপনারা অনুমতি দিলে দেহ একদিন সংরক্ষণ করা যেতে পারে। পুলিশের অনুমতিতে দেহ একদিন সংরক্ষণ করা হয়। পরদিন মেয়েটির বাবা-মা আসেন। আসার পর তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁদের সান্ত্বনা দিই।” এরপরই দেহ শনাক্তের পর ময়নাতদন্ত শুরু হয়।

এরপরই এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন এমএসভিপি রাজীব প্রসাদের কথা তোলেন চিকিৎসক তনয় মহন্ত। তিনি বলেন, “কয়েকজন পড়ুয়াকে নিয়ে আসেন তৎকালীন MSVP। ছাত্রীকে কেন ব্রট ডেড দেখানো হল, তা জানতে চান। বারবার বলেন, কেন ব্রট ডেড দেখানো হয়েছে। আমাকে বলেন, কেন ব্রট ডেড দেখালে।”

এই খবরটিও পড়ুন

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেন, “এটার জন্য কেন চাপ দিচ্ছিলেন, সেটা বুঝতে পারিনি। তবে সেইসময় তিনি বলেন, এখানে তো অনেক চিকিৎসক রয়েছেন। এখানকার চিকিৎসকরা তো মৃত্যু শংসাপত্র দিতে পারবেন। আমি বলেছিলাম, এটায় তো আমার কিছু করার নেই। ব্রট ডেড হল কি না, তা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের ব্যাপার নয়। পুলিশ যেমনভাবে আনবে, তদন্তে যা লেখা থাকবে, তেমনভাবেই ময়নাতদন্ত হবে।”

এমএসভিপি কেন চাপ দিচ্ছিলেন, তা বুঝতে না পারলে ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছিলেন, ছাত্রীর সঙ্গে র‌্যাগিংয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসক তনয় মহন্ত বলেন, “ওইদিন সেখানে জড়ো হওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল, প্রিন্সিপাল কেন ওদের (প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের) আলাদা রাখছে? মনে হচ্ছিল, প্রিন্সিপালকে হেনস্থা করা হতে পারে।”

তৎকালীন MSVP-র কার্যকলাপে উঠেছে প্রশ্ন। কেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে চাপ সৃষ্টি করা হল? কী উদ্দেশ্য ছিল?  উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

Next Article