কোচবিহার: থিম থেকে সাবেকিয়ানা, দক্ষিণঙ্গের মন মাতানো পুজোর পাশাপাশি দর্শনার্থীদের ঢল উত্তরবঙ্গেও। শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার, সব পুজোতেই অভিনবত্বের ছোঁয়া। কোথাও কোথাও প্রতিবাদের ছাপ। কোচবিহারের ছাট গুড়িয়াহাটি নেতাজি স্কোয়ারের এবারের থিম ‘দৌড়’। আদি অনন্ত কাল ধরেই চলছে দৌড়। কখনও মহাকালে, মহাকাশে আবার কখনও মর্ত্যধামে প্রতিনিয়ত চলছে এই দৌড়। প্রতিনিয়ত লক্ষ্য স্থির রেখে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে চলছে দৌড়, এইসব অনুভূতিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানকার মণ্ডপে। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত গৌরাঙ্গ কুলিয়ার তত্ত্বাবধানে ফুটে উঠেছে এখানকার মণ্ডপ।
কোচবিহার মহিষবাথান বিদ্যাসাগর ক্লাব ও পাঠাগারের পুজো প্রথম শুরু হয় ১৯৭৫ সালে। এবারে তাঁদের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। এবারের থিম সুন্দরবন। বিশ্ব উষ্ণায়নের কু-প্রভাব ঠিক কতটা পড়ছে পৃথিবীর বুকে তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপসজ্জায়। পরিবেশ বান্ধব মণ্ডপসজ্জা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। নামছে মানুষের ঢল। শিলিগুড়ির শিল্পী বাপন ঘোষ তৈরি করেছেন এই প্যান্ডেল। আলোকসজ্জা ও শব্দের মেলবন্ধনে গোটা মণ্ডপ সেজে উঠেছে। যা মনে করিয়ে দিচ্ছে এক টুকরো সুন্দরবনের ছবি। কোচবিহার শহর সংলগ্ন মহিষবাথান এলাকায় তৈরি হয়েছে এই থিম।
কোচবিহার সুভাষপল্লী ইউনিটের পুজোও এবার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে পদার্পন করেছে। এবার তাঁদের থিম ‘চাই না হতে উমা’। সমাজে মহিলাদের উপর অত্যাচারের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানকার মণ্ডপে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কীভাবে মেয়েদের লাঞ্চনা সহ্য করতে হয় তাই জায়গা পেয়েছে এখানকার থিম ভাবনায়। হাওড়ার শিল্পী শরিফুল জমাদারের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে এখানকার থিম। চন্দননগরের আলোকসজ্জা তাতে দিয়েছে আলাদা মাত্রা।