দক্ষিণ দিনাজপুর: করোনা মোকাবিলায় রাজ্য় জুড়েই পথে নেমেছে রেড ভলেন্টিয়ার্স (Red Volunteers)। বালুরঘাটের গঙ্গারামপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। জনতার ‘দুয়ারে’ গিয়ে খাবার থেকে শুরু করে ওষুধ সমস্তই পৌঁছে দিয়েছে তারা। মহামারী মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন ঘোষণার জেরে আতান্তরে পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা। তাঁদের কথা ভেবেই এ বার গঙ্গারামপুরে সিপিএমের তরফে চালু করা হল শ্রমজীবী ক্যান্টিন।
শনিবার, সিপিআইএমের (CPIM) গঙ্গারামপুর এরিয়া কমিটির তরফ জানানো হয়, দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে মূলত এই ক্যান্টিন চালু করা হল। প্রথমদিনে প্রায় ১১০জন দুঃস্থ মানুষের হাতে খাবার তুলে দেন বামফ্রন্ট কর্মীরা। খাবারের তালিকায় ছিল, ভাত, ডাল, ডিমের ঝোল, সবজি ও চাটনি। শুধু, দুঃস্থ মানুষেরা নন, প্রয়োজনে করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়িও পৌঁছে দেওয়া হবে এই খাবার। যতদিন কার্যত লকডাউন চলছে ততদিন ধরেই আপাতত এই পরিষেবা দেওয়া হবে। তবে, লকডাউনের পরেও পরিস্থিতি বুঝে তা বাড়ানো হবে। স্থানীয় বাম নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা জানি, করোনাকালে অনেকের হাতে কাজ নেই। আয় নেই। রেড ভলেন্টিয়ার্স কাজ করছেন তো বটেও। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা এই ক্য়ান্টিন চালু করলাম, যাতে দুঃস্থ মানুষদের দুবেলা খাবার ব্যবস্থা করা যায়। আজই প্রায় শতাধিক মানুষের কাছে আমরা পৌঁছতে পেরেছি। এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই আশা রাখি।”
অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় বিধাননগরে অভিনব উদ্যোগ নিল রেড ভলেন্টিয়ার্স। নিউটাউন এরিয়া ৩ কমিটির উদ্যোগে বিধাননগর পুরনিগমের ১৪, ১৯, ২০ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ডে অটো অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করল তারা। থাকছে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও। অনেকসময়েই করোনা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে নানা সমস্যার অভিযোগ ওঠে। সেদিকে নজর রেখেই অটো অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধাননগর রেড ভলেন্টিয়ার্স। উল্লেখ্য, শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৮২। শেষ একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জনের। গতকাল এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১১৩। রাজ্যের বর্তমান সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৪৪ হাজার ৪১।
আরও পড়ুন: ‘সিপিআইএমের মতো সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মেলানো অসম্ভব’, প্রত্যক্ষ প্রতিবাদ ফরোয়ার্ড ব্লকের