কুমারগঞ্জ: স্বামী কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছিলেন মহিলা। একা থাকার সুযোগ নিয়ে নিজের দুধের শিশুকে ‘শেষ’ করে দিলেন? শুধু তাই নয়, মৃতদেহটিকে ধামা চাপা দিতে খড়ের গাদার মধ্যেও ফেলে রেখেছিলেন। পরে প্রতিবেশীদের নজরে আসে গোটা বিষয়টি। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গ্রেফতার করা হয় তাকে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে। নিজের মেয়েকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠল খোদ মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার মা। অভিযুক্ত মহিলার নাম বর্ণা শীল। বুধবার দুপুরে তাকে তোলা হয় বালুরঘাট জেলা আদালতে। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা খবর যায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাত্রিবেলাই মহিলাকে আটক করে পুলিশ। এরপর আজ সকালে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মহিলার স্বামী রামকৃষ্ণ শীল। তিনি পেশায় গাড়ির চালক। গতকাল বিকেলে রামকৃষ্ণবাবু কাজের সুবাদে বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। এ দিকে, ন’মাসের কন্যা তৃষা কান্নাকাটি করছিল। অভিযোগ, সেই সময় শিশুটির গলা টিপে তাকে মেরে ফেলে মা। শুধু তাই নয়, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে খড়ের গাদার মধ্যে মেয়ের দেহ লুকিয়ে রাখে বলেও অভিযোগ।
তবে চাপা থাকেনি বিষয়টি। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খড়ের গাদার ভিতর থেকে মেয়ের দেহ উদ্ধার করে পরিবারের অন্য সদস্যরা। তারপরই ঘটনাস্থলে আসে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই মহিলা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
অভিযুক্ত মহিলার স্বামী বলেন, ‘আমি গাড়ি চালাই। সেই মতো গাড়ি চালাতেই গিয়েছিলাম। তখন হঠাৎ দেকি বাবা আমাকে ফোন করে। আমি জানতে চাই কী হয়েছে। বাবা আমায় বলেন বাড়ি ফিরে আসতে। ঘরে আসার পর দেখি আমার স্ত্রী আমার ন’মাসের সন্তানকে খুন করেছে। ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল।’