South Dinajpur: মাংস বিক্রি করছিলেন, কিন্তু গন্ধ শুঁকেই দুঁদে কর্তারা বুঝেছিলেন ওটা আসলে কী! বাজারে গিয়ে হাতেনাতে ধরলেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 05, 2022 | 9:15 AM

South Dinajpur: দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কচ্ছপের মাংস-সহ এক ব্যাক্তিকে আটক করল বনবিভাগ।

South Dinajpur: মাংস বিক্রি করছিলেন, কিন্তু গন্ধ শুঁকেই দুঁদে কর্তারা বুঝেছিলেন ওটা আসলে কী! বাজারে গিয়ে হাতেনাতে ধরলেন
কচ্ছপের মাংস বিক্রির অভিযোগ

Follow Us

দক্ষিণ দিনাজপুর: একটা ঝুড়ি। তাতে রাখা কয়েকটা কালো প্লাস্টিক। রাস্তার ধারে আর পাঁচ জন সবজি-মাছ ওয়ালার সঙ্গেই বসেছিলেন। বাজার এলাকা। কারোর কোনও সন্দেহ হওয়ার কথাও নয়। সন্ধ্যায় অফিস ফেরত অনেকেই বাজার করে ফেরেন। বুধবারও তেমনই ভিড় ছিল। আচমকাই একটা গাড়ি। সরকারি আধিকারিকদের গাড়ি। গাড়ি থেকে কয়েকজন কর্তা নেমে এসে দাঁড়ালেন সেই যুবকের ঝুড়ির সামনেই। কয়েকটা প্রশ্ন করলেন, তারপরই হ্যান্ডস কাফ পরিয়ে গাড়িতে তুললেন। বাকিরা ততক্ষণে হতবাক। কী এমন ঘটল! পরে জানা গেল আসল রহস্য। বিরল প্রজাতির কচ্ছপ কেটে মাংস বিক্রির অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কচ্ছপের মাংস-সহ এক ব্যাক্তিকে আটক করল রায়গঞ্জ বন বিভাগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সুত্রে খবর পেয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থানা ও গাজোল থানা সংলগ্ন ওই এলাকায় হানা দেয় রায়গঞ্জ বন বিভাগের কর্মীরা। এরপর ওই ব্যাক্তিকে হাতেনাতে কচ্ছপের মাংস বিক্রি করতে ধরে ফেলে বলে বন দফতরের দাবি। সেইসঙ্গে কেটে ফেলা কচ্ছপের ওপরের শক্ত খোলও উদ্ধার করেছে বন দফতর। যা বিরল প্রজাতির বলে দাবি রায়গঞ্জ বন বিভাগের কর্তাদের।

ধৃতকে জেরা করে এই কচ্ছপগুলি কোথা থেকে আনা হয়েছিল সবটাই খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। রায়গঞ্জ বন বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, শীতের সময় মুলত উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এমনকি মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকায় কচ্ছপ পাচার ও কচ্ছপের মাংস গোপনে বিক্রি হয়। এতে মূলত দক্ষিণ দিনাজপুরের এক শ্রেণির অসাধু কারবারিরা এই চোরা কারবারে জড়িত থাকেন। বন দফতরের আধিকারিকদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। তক্কে তক্কে ছিলেন তাঁরা। বুধবার সন্ধ্যায় সেই অভিযানে সফল হয়েছেন বলে জানান বন দফতরের কর্তারা। আগামী দিনেও এই অভিযান চলবে বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।

রায়গঞ্জ ফরেস্ট ডিভিশনের এডিএফও সৌগত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা একটা অভিযান চালিয়েছিলাম। তাতে সফল হয়েছি। প্রত্যেক বছরই এই এলাকায় এই অবৈধ ব্যবসা চলে। এবার নভেম্বরের শুরু থেকেই লোক লাগিয়ে রেখেছিলাম। খবর মারফত অভিযান চালিয়ে এক জনকে গ্রেফতার করেছি।”

Next Article