Balurghat: ভোটের মুখে সুকান্তর গড়ে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি, শাসকদলে যোগ আড়াই হাজার কর্মীর
Balurghat: তিনজন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ লক্ষ্মীপুরের নির্দল সদস্য সিরাজুল হক, মধ্য লক্ষ্মীপুরের সিপিআইএমের সদস্য মর্জেন আলী ও বাবতালের কংগ্রেস সদস্য সাবিনা খাতুন।

তপন: হাতে আর ক’টা দিন। বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। এরইমধ্যে লোকসভা ভোটের আগে দক্ষিণ দিনাজপুরে শাসক তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি। মঙ্গলবার তপন ব্লকের চৌমাথা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বাম, কংগ্রেস ও নির্দলের তিনজন পঞ্চায়েত সদস্য-সহ প্রায় আড়াই হাজার কর্মী বিজেপি-সহ বিভিন্ন দল ছেড়ে যোগদান করলেন তৃণমূলে। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বালুরঘাট লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, জেলা কোর কমিটির সদস্য প্রশান্ত মিত্র সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
তিনজন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ লক্ষ্মীপুরের নির্দল সদস্য সিরাজুল হক, মধ্য লক্ষ্মীপুরের সিপিআইএমের সদস্য মর্জেন আলী ও বাবতালের কংগ্রেস সদস্য সাবিনা খাতুন। তিনজনই তৃণমূলে যোগদান করেন। বিশাল সংখ্যক যোগদানের ফলে তপন ব্লকের এক নম্বর রামপাড়া চ্যাচড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রায় সমস্তটাই তৃণমূলের হাতে চলে এল বলে মনে করছেন বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র।
তবে শক্তি বেড়েছে পদ্ম শিবিরেরও। এদিন রাতে প্রায় ৪০টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে গঙ্গারামপুর কালিতলায় অবস্থিত বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর হাত ধরে দলীয় পতাকা তুলে নেয় গঙ্গারামপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৪০টি পরিবার। জেলা সভাপতির পাশাপাশি যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ মণ্ডল, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অশোক বর্ধন, গঙ্গারামপুর শহর বিজেপির সভাপতি বৃন্দাবন ঘোষ-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকরা। মূলত তৃণমূল ও বামফ্রন্ট থেকে ওই ৪০ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে বলে খবর। তবে এদিনের যোগদানে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।





