গঙ্গারামপুর: দলের দুর্নীতি নিয়ে ফের সরব তৃণমূলের সেকন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচির মধ্যেই সাংগঠনিক বৈঠকে জোর দিয়েছেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরেও সাংগঠনিক বৈঠিক করবেন তিনি। গতকাল গঙ্গারামপুরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন যে, ২০১১ সালের পর থেকে তৃণমূলে বেনোজল ঢুকেছে। অনেকে ক্ষমতার লোভে অন্যদল থেকে এসেছে। এদের চিহ্নিত করে বের করবে দল।”
বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটে জমি শক্ত করতে মরিয়া শাসকদল। দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীরা একদিকে যখন ক্রমাগত ‘অল-আউট’ অ্যাটাকে নেমেছে, ঠিক তখনই মাঠে নেমে জন-সংযোগে ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির। মঙ্গলবার রাত্রিবেলা গঙ্গারামপুরের সভা থেকে অভিষেক বলেন, “২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমবার ক্ষমতায় আসে। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতারাতি কিছু বেনোজল দলে ঢুকে পড়ে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য অন্য পার্টি থেকে এসে একে ধরে তাঁকে ধরে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে চায় তাঁরা। এই বেনোজল গুলোকে চিহ্নিত করে আগামী দিনে পার্টি থেকে বের করে মানুষকে মানুষের পঞ্চায়েত সদস্য দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “অনেকেই রয়েছেন যাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। খুব গুরুত্বপূর্ণ নেতা যাঁরা তাঁদের ক্ষেত্রে বোঝা যায়। তবে গ্রাম বাংলার হাজার-হাজার লোকজন তৃণমূলে এসেছেন সেক্ষেত্রে কারা বেনোজল তা বোঝা সম্ভব নয়। আর যাঁরা এসেছেন তাঁরা সবাই বেনোজল নয়। এদের একটা ক্ষুদ্র অংশ যাঁরা বেনোজল তাঁদের কথাই অভিষেক বলেছেন।” বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই কথার গ্রহণযোগ্যতা আছে? অনুব্রত মণ্ডল এখনও তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তাপস,কুন্তলের দাবি দল তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। যে রাজনৈতিক দল এই রাজ্যে একটা পঞ্চায়েতও চালাতে পারেনি যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ নেই।”