Student Protest: ‘আমরা সময়ে এলে ম্যাডামদেরও নিয়ম মেনে আসতে হবে’, স্কুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল ছাত্রীরা
Gangarampur: স্কুলের মূল গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় শতাধিক ছাত্রী। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর-তপন রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তারা।
দক্ষিণ দিনাজপুর: সময়ে স্কুলে এলেও ছাত্রীদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে, পথ অবরোধ করে সরব হল পড়ুয়ারা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর (Gangarampur) গার্লস হাইস্কুলে। ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, সময়মতই স্কুলে ঢুকেছিল তারা। কোভিডের আগে স্কুলে ঢোকার যে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, শিক্ষিকারা সেই নিয়মে এখনও চলতে চাইছেন। কিন্তু তা হওয়ার কথা নয় বলেই দাবি তুলে এদিন স্কুলের মূল গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় শতাধিক ছাত্রী। পাশাপাশি গঙ্গারামপুর-তপন রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা। তাঁরাই ছাত্রী, অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর গার্লস হাইস্কুল। ছাত্রীরা জানায়, কোভিডের আগে যখন স্কুল খোলা ছিল, তখন একটি নোটিস দেওয়া হয় স্কুলের বাইরে। বলা হয় ১০টা ৪০-এর মধ্যে স্কুলে ঢুকতে হবে। ছাত্রীদের অভিযোগ, এই নিয়ম কোভিডের আগে ছিল। এখন এই নিয়মে স্কুল চলবে এমন কোনও নোটিস পড়েনি। শিক্ষিকারা নিজেদের মতো স্কুলে আসেন। অথচ ছাত্রীদের ক্ষেত্রে নিজেদের বানানো নিয়ম চালাতে চান।
স্কুলেরই ছাত্রী শ্রেয়া মজুমদারের কথায়, “লকডাউনের আগে ১০টা ৪০-এ স্কুলের গেট বন্ধ হত। ২০২২ সালে এরকম কোনও নোটিস আমরা পাইনি। যে নোটিস এখন আছে তাতে ১০টা ৫০-এ স্কুলে ঢুকতে বলা হয়েছে। আমরা ১০টা ৪৫-এ ঢুকেছি। তাও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ম্যাডামকে অনেকবার বললেও শোনেননি। এতদিন হয়ে গেল আমরা ক্লাস করি, কোনও রুটিন নেই। রোজ ৮টা ৯টা বই নিয়ে আসি। এটা কোনও কথা হল? তাই আমরা আজ গেটে তালা দিয়ে দিই। আমাদের ম্যাডামরা ঢুকতে দেননি, আমরা ওনাদের কেন বেরোতে দেব? একজন ম্যাডাম পৌনে ১২টায় স্কুলে এলেন। আমরা নিয়ম মানলে ওনাদেরও তো মানতে হবে।”
যদিও স্কুলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই স্কুলে নোটিস দেওয়া হয়। বলা হয়, ১০টা ৪০ মিনিটের আগেই ছাত্রীদের স্কুলে ঢুকতে হবে। কারণ, এরপর জাতীয় সঙ্গীত শুরু হবে। গঙ্গারামপুর গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সীমা সরকার বলেন, তিনি নিজে দেরিতে আসা ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরও একই ঘটনা।
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: ভিডিয়ো: বারুদের স্তূপে দাঁড়িয়ে বাংলা, একের পর এক বিস্ফোরণ, আকাশ ছেয়ে গেল ধোঁয়ায়