South Dinajpur: চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত, তাও সারেনি অসুখ, অবসাদে আত্মঘাতী যুবক
South Dinajpur: জানা গিয়েছে, ঝুলন পেশায় কৃষক ছিলেন। বাড়িতে সন্তানদের সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী। প্রায় বছর দেড়েক আগে তাঁর শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাধে। আচমকা গা হাত পা ফুলে উঠেছিল। এমনকি খেতেও পারতেন না।
বালুরঘাট: চিকিৎসা করিয়ে হয়েছেন সর্বস্বান্ত হয়েছেন৷ তাও সারেনি অসুখ। অবশেষে মানসিক অবসাদ থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী যুবক। মৃতের নাম ঝুলন পাহান (৩৫)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম থানার পাগলিগঞ্জ ফরিদপুরে। গতকাল দুপুরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। খবর যায় পুলিশে। বালুরঘাট থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে। শোকের ছায়া এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ঝুলন পেশায় কৃষক ছিলেন। বাড়িতে সন্তানদের সঙ্গে রয়েছে স্ত্রী। প্রায় বছর দেড়েক আগে তাঁর শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাধে। আচমকা গা হাত পা ফুলে উঠেছিল। এমনকি খেতেও পারতেন না। বালুরঘাট ও মালদহে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলেছিল৷ পরিবারের সদস্যরা বলছেন ওষুধ খাওয়ার পরেও কমেনি সমস্যা। দিনে দিনে আরও কাহিল হয়ে পড়েন ঝুলন। এদিকে চিকিৎসা করতে গিয়ে জমানো টাকা ততদিনে শেষের পথে। পরিবারে বেড়েছে অনটন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠে পরিবারের। এদিকে শরীর এতটাই ভেঙে গিয়েছিল যে কোনওরকম কাজ করার ক্ষমতাই আর ছিল না। তাতেই তীব্র মনকষ্টে ভুগছিলেন ওই যুবক। সেই অবসাদ থেকেই তিনি এমনটা করেছেন বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা।
একদিন আগে দুপুরে বাড়িতে সকলের অগোচরে গলায় ফাঁস দেন। বিষয়টি পরিবারের নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। পরে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পরিবারের লোকজনদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ বিষয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান আত্মহত্যাই করেছেন ওই যুবক।