Major Martyr in Kashmir: ছোটবেলায় আর্মির জ্যাকেট পরে ঘুরতেন, তেরঙায় মুড়ে কাশ্মীর থেকে মেজরের দেহ ফিরছে দার্জিলিংয়ে

Prasenjit Chowdhury | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 16, 2024 | 4:16 PM

Major Martyr in Kashmir: গত রবিবার ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয় তাঁর। ছেলে বলেছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে বেরতে হবে, পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে হবে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা। তারপর আর যোগাযোগ হয়নি।

Major Martyr in Kashmir: ছোটবেলায় আর্মির জ্যাকেট পরে ঘুরতেন, তেরঙায় মুড়ে কাশ্মীর থেকে মেজরের দেহ ফিরছে দার্জিলিংয়ে
কাশ্মীরে শহিদ ব্রিজেশ থাপা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দার্জিলিং: বাবা, ঠাকুরদা ছিলেন সেনাবাহিনীতে। ছোট থেকেই তাই উর্দি পরার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েও মোটা বেতনের চাকরি করতে চাননি কোনওদিনই। বাবা-মাকে বরাবরই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছার কথা বলতেন তিনি। সম্প্রতি কাশ্মীরে পোস্টিং হয় মেজর ব্রিজেশ থাপার। জঙ্গি দমন অভিযানে সামনে থেকে লড়াই করছিলেন তিনি। সেই কাশ্মীরেই শেষ হল সব লড়াই। কাশ্মীর থেকে তেরঙায় মুড়ে দার্জিলিংয়ে ফিরছে মেজর ব্রিজেশ থাপার নিথর দেহ।

সোমবার রাতে কাশ্মীরের ডোডায় চলে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। সেই লড়াইতেই মৃত্যু হয়েছে মেজর থাপা সহ চার সেনা জওয়ানের। সেই মেজর ব্রিজেশ থাপা দার্জিলিং-এর বাসিন্দা। তাঁর বাবা ভুবনেশ থাপাও ছিলেন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। মাত্র ২৭ বছর বয়সে মেজর থাপার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে। মায়ের চোখের জল বাধ মানছে না।

ব্রিজেশ থাপার বাবা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই সেনাবাহিনীতে কাজ করার ইচ্ছা ছিল ছেলের। তিনি বলেন, “যখন আমি সেনার গাড়ির সামনে বসে যেতাম, তখন ও বলত, একদিন আমিও ওই জায়গায় বসব। ছোট থেকে আর্মির জ্যাকেট পড়ে ঘুরে বেড়াত। দেশের জন্য কাজ করবে, এটাই ছিল ওর ধ্যান-জ্ঞান।” গত রবিবার ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয় তাঁর। ছেলে বলেছিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে বেরতে হবে, পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে হবে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা। তারপর আর যোগাযোগ হয়নি। সোমবার রাতে মৃত্যুর খবর পৌঁছয় বাড়িতে।

মেজরের বাবা জানিয়েছেন, জম্মু থেকে দেহ দার্জিলিংয়ে আনা হচ্ছে। এই খবর শুনে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সাংসদ রাজু বিস্তা।

Next Article