শিলিগুড়ি: আকাশপথে দেশের বিভিন্ন এলাকাকে জুড়তে কেন্দ্রীয় সরকারের উড়ান প্রকল্পে বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও বাস্তবে বহু কাজে এগোয়নি। এই প্রকল্পে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি ফান্ড খরচের ক্ষেত্রেও ব্যাপক অনিয়ম সামনে এসেছে বলে জানিয়ে দিলেন সংসদের পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী।
শিলিগুড়িতে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফচর গুলির কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে বৈঠক করছে সংসদের পাবলিক অ্যকাউন্ট কমিটি। সেই কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে কমিটির চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী বলেন, “ক্যাগ রিপোর্টে বহু অনিয়ম বেনিয়ম ধরা পড়েছে। ঊরান প্রকল্পে যাবতীয় অর্থ খরচের ক্ষেত্রে বাস্তবে বিপুল টাকা খরচ হলেও কাজ সেভাবে এগোচ্ছে না। এ নিয়ে সংসদের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করবে পাবলিক আকাউন্টস কমিটি।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “খাদ্য ও গণবন্টন নিয়েও এ রাজ্যে কিভাবে কাজকর্ম চলছে তাও খতিয়ে দেখছে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি।”
প্রসঙ্গত, গতকালই রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন মিড ডে মিলে একশো কোটির দুর্নীতি হয়েছে। এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত দরকার। এ নিয়ে অধির চৌধুরী বলেন, “কেউ সিবিআই চাইলে চিঠি লিখে আবেদন করুন। এ রাজ্যে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীসহ দুই মন্ত্রী জেলে আছেন। মিড ডে মিলেও দুর্নীতি হয়েছে বলেই মনে করি।”
এ দিন পাবলিক আকাউন্টস কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রের উড়ান প্রকল্প নিয়ে অধীর চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলায় সময় আচমকা সাংবাদিক বৈঠক বয়কট করেন বিজেপির দুই সাংসদ জগদম্বিকা পাল ও রামকৃপাল যাদব। তারা বলেন, “ক্যাগের রিপোর্ট ও তাকে ভিত্তি করে এই কমিটির মতামত একমাত্র স্পিকারকে জমা দেওয়ার কথা। রিপোর্ট দেওয়ার আগেই এভাবে সংবাদ মাধ্যমে সব বলে দেওয়া যায় না। কাউকে আগেভাগেই অভিযুক্ত করাও ঠিক না। অধীর চৌধুরী পদের ব্যবহার করে রাজনীতি করছেন।”