কলকাতা: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ জুনিয়র চিকিৎসকদের। টাকার বিনিময়ে টুকলি, চিকিৎসকদের বদলির হুমকি থেকে শুরু করে একের পর এক থ্রেট। অভীক দে-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব চিকিৎসকরা। তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। শুধু তাই নয়, অভীককে মেডিক্যাল কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার দাবি জুনিয়র চিকিৎসক পড়ুয়াদের।
তবে এই অভীকের বিরুদ্ধে শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা নয়, পাশাপাশি ডিপার্টমেন্টাল হেডরা এসেও উপস্থিত হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশেষ একজন ছাত্র নেতার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এইচওডি-রা বলছেন, তাঁরা ৫২-৫৩ নম্বর দিয়েছিলেন। অথচ মার্কশিটে নম্বর লেখা ৮০। এক অধ্যক্ষ বলেন, “নম্বর ধরে ধরে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ডাকলে ফাইল দেখাব।” এরপর আজ ছাত্র-ছাত্রী সহ অধ্যাপকরা ঘিরে ধরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও প্রিন্সিপালকে। তাঁরা জানতে চান নম্বর বাড়ানোর পিছনে কে যুক্ত। প্রথমে ডিন মানতে না চাইলেও পরে আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে কার্যত মুখ খোলেন তিনি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
ডিন অফ স্টুডেন্স বলেন, “কোনও-কোনও সময় অভীক দে-র ফোন আসত। তবে যদি বারবার ফোন আসত আমি বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে যেতাম। অভীক ছাড়া কেউ ফোন করত না। তবে যতক্ষণ হলে ছিলাম, ততক্ষণ কড়া গার্ড দিয়েছি।” পাল্টা আন্দোলনকারীরা বলতে থাকেন নাম বলুন নাম। তখন আবার ডিন বলেন, “আমি অ্যাপোলজি চেয়ে বলছি, কয়েকটা ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল স্যরের কাছেও ফোন আসত। উনি বলতেন তুমি বেশিক্ষণ না থেকে চলে এসো। কিন্তু এতবার ফোন আসত যে সকলে বিরক্ত হত। স্যর বেরিয়ে যেতেন। আমার কাছে চোদ্দবার ফোন আসত। আমি হলের মধ্যে ধরব? বেরিয়ে যেতাম। অভrক ছাড়া ফাইনাল ইয়ারে শাহিন সরকার ফোন করেছিল। আর কেউ নেই।” যদিও, প্রিন্সিপাল বলেন, “আমার কাছে কোনও ফোন আসত না।”
কে এই অভীক দে?
তিলোত্তমার কাণ্ডে যে সব ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছিল, সেখানে সেমিনার রুমে এক লাল জামা পরা যুবককে দেখা গিয়েছিল। লালবাজার যাঁকে ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ বলেছিল। যদিও পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম অভীক দে। এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটি তিনি। আরও পরে জানা যায়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে সংগঠনের তরফে সেভাবে মুখ খোলেনি কেউই। অবশেষে সোমবার রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, অভীক দে-কে বরখাস্ত করা হল। এই অভিক দে-র বিরুদ্ধেই উঠছিল জোর করে চাপ দিয়ে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ।