শিলিগুড়ি: সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে এবার আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ৷ শিলিগুড়িতে কোভিডকালে ডাক্তারদের রাখতে বহু হোটেল ভাড়ায় নেয় প্রশাসন। অভিযোগ, টাকা খরচ হলেও এসব বাবদ একটি টাকাও পাননি হোটেল মালিকেরা। এখনও তাঁদের বকেয়া প্রায় কোটি টাকা মেটানো হয়নি কেন? কোথায় গেল সেই টাকা? এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন হোটেল মালিকেরা। আদালত দ্রুত বকেয়া মেটানোরও নির্দেশ দেয়। কিন্তু আজও সেই টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ।
কোভিডকালে জলপাইগুড়ির চোখের ডাক্তার উত্তরবঙ্গ লবির মাথা সুশান্ত রায়কে নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। শোনা যাচ্ছে, এরপরেই জেলায় জেলায় কোভিড মোকাবিলায় সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন সুশান্ত। সরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে কার্যত তিনিই ছিলেন শেষ কথা। তার নির্দেশেই যাবতীয় কাজ হতো বলে খবর। সূত্রের খবর, সুশান্ত রায়ের নির্দেশেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের একাংশকে রাখতে হোটেল ভাড়া নেয় প্রশাসন। কিন্তু কোভিড মিটতেই হোটেলের বিল মেটানোর ক্ষেত্রে আর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ টাকা খরচ হলেও বিল পাননি হোটেল মালিকেরা। বহুবার প্রশাসনিক দফতর, স্বাস্থ্য ভবনে তাগাদা দিয়েও একটি টাকাও মেলেনি। ফলে মামলা করেন প্রাপকদের একাংশ।
শিব মন্দির এলাকার এক হোটেল মালিক তপন দাসের অভিযোগ, “সমাজের উপকারের জন্য ঝুঁকি নিয়ে হোটেল দিয়েছিলাম। এখনও এক কোটি ৮২ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরকে বললে ওরা সুশান্ত রায়কে দেখাচ্ছে। আমি আদালতে মামলা করেছি। একাধিক মামলায় জিতেও এখনও টাকা পাইনি। বিপুল টাকা বকেয়া। লড়াই করে যাচ্ছি প্রাপ্য আদায়ে। মুখ্যমন্ত্রী-সহ সবাইকে চিঠি দিয়েছি।”
দার্জিলিং মোড় এলাকার হোটেল রয়েছে শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “সুশান্ত রায় ওএসডি ছিলেন। ওদের নির্দেশেই আমরা হোটেল দিয়েছিলাম। টাকা পাইনি। আমার বকেয়া প্রায় আড়াই লাখ টাকা। স্বাস্থ্য দফতর সুশান্ত রায়কে দেখাচ্ছে। উনিও টাকা দিচ্ছেন না।” অন্যদিকে হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জল ঘোষ বলেন, “সুশান্ত রায় ওএসডি ছিলেন। এখন নানা দূর্নীতি দেখছি সামনে আসছে। এখানে কি দূর্নীতি আছে জানি না। কিন্তু আমার বহু মেম্বার টাকা পান নি। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।”