Tourists stranded in Sikkim: ফুঁসছে তিস্তা, ভয় বাড়াচ্ছে সিকিম, এখনও আটকে দেড় হাজার পর্যটক
Tourists stranded in Sikkim: ছোট গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সিকিমগামী জাতীয় সড়ক খোলা থাকলেও ধসের আশঙ্কায় অধিকাংশ গাড়িই ওই পথে চলছে না। লামাহাটা হয়ে পেশক রোড দিয়ে দার্জিলিং যাওয়া বা দার্জিলিং থেকে এই পথে সিকিম, কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা এদিনও বন্ধই থাকছে।
শিলিগুড়ি: উত্তর সিকিমে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। আটকে আছেন প্রায় ১৫০০ পর্যটক। মোবাইল নেটওয়ার্ক বসে যাওয়ায় তাঁদের সঙ্গে পরিজনদের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। খারাপ আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে উত্তর সিকিমে। প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে তিস্তা। তবে তিস্তা বাজার এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানাল প্রশাসন। এদিনই জরুরি ভিত্তিতে কালিম্পংয়ের চিত্রেতে বৈঠক করেন জেলার প্রশাসনের কর্তারা। তারপরই জানান, আট মাস আগে যাদের ঘর-বাড়ি নষ্ট হয়েছিল তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। সেই বাড়িগুলিই মেরামত করে ওরা ওখানে থাকছিলেন। ওদের জন্য বিকল্প শেল্টার তৈরি রয়েছে। পাশাপাশি NHPC যে এলাকায় কাজ করছে সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিতে NHPC কে বলা হয়েছে বলেও জানান কালিম্পংয়ের বিডিও সামিরুল ইসলাম।
অন্যদিকে, ছোট গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সিকিমগামী জাতীয় সড়ক খোলা থাকলেও ধসের আশঙ্কায় অধিকাংশ গাড়িই ওই পথে চলছে না। লামাহাটা হয়ে পেশক রোড দিয়ে দার্জিলিং যাওয়া বা দার্জিলিং থেকে এই পথে সিকিম, কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা এদিনও বন্ধই থাকছে।
গত ২৪ ঘন্টাতেও পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। এদিনও ফের প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে সিকিমে। ফলে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে প্রশাসন। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বাংলার একেবারে উপরের দিকের জেলাগুলিতে। এদিকে এরইমধ্যে তিস্তায় থাকা সমস্ত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের লকগেট খোলা রাখা হয়েছে। সমতলে গজলডোবায় অধিকাংশ লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।