Jalpaiguri: একদিনও স্পর্শ পেলেন না সন্তানের, ২৬ দিন লড়াইয়ের পর মৃত্যু প্রসূতির

Nileswar Sanyal | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 24, 2025 | 2:54 PM

North Bengal Medical College: পরিবারের দাবি, পরের দিন থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন শান্তনা। এরপর ২ রা জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর ধরা পড়ে প্রসূতির কিডনি বিকল হয়েছে। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে।

Jalpaiguri: একদিনও স্পর্শ পেলেন না সন্তানের, ২৬ দিন লড়াইয়ের পর মৃত্যু প্রসূতির
মৃত্যু মহিলার
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

শিলিগুড়ি: হাসপাতালে স্যালাইন ও ইঞ্জেকশন নেওয়ার পরই বিকল হয়ে গিয়েছিল কিডনি। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হল সেই মায়ের। শুক্রবার দুপুর নাগাদ মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃতের নাম শান্তনা রায় (২৩)। সন্তান জন্মের পর থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করেন তিনি। একরত্তির ছোঁয়াটুকুও পাননি। তার আগেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল তাঁর।

জলপাইগুড়ি বোয়ালমারি নন্দন পুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা শান্তনা। গত ২৯ ডিসেম্বর তাঁকে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা মাদার চাইল্ড হাব’-এ। ওই দিন রাতেই সিজার করা হয়। পুত্র সন্তানের জন্ম দেন শান্তনা।

পরিবারের দাবি, পরের দিন থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন শান্তনা। এরপর ২ রা জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর ধরা পড়ে প্রসূতির কিডনি বিকল হয়েছে। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। রোগীর আত্মীয়রা সেই সময়ই অভিযোগ করেছিলেন, শান্তনার ভেন্টিলেশন ও ডায়ালিসিস দু’টোই একসঙ্গে প্রয়োজন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে সেই পরিকাঠামো নেই। ক্রমশ বাড়ছিল ক্রিয়েটিনিন লেভেল। এরপর আজ মৃত্যু হল সেই মায়ের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের। মৃতের বাড়ির সদস্যদের দাবি, উপযুক্ত পরিষেবা থাকলে হয়ত হারাতে হতো না শান্তনাকে।

 

Next Article