Mucormycosis: কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বিরল সংক্রমণ, এতদিন বাদে আবারও উত্তরবঙ্গে ফিরল সেই ভয়

Prasenjit Chowdhury | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 24, 2025 | 6:10 PM

Mucormycosis: ইএনটি বিভাগীয় প্রধান রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন,  "কোভিডকালে ২০২১ সালে ৩৯টি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। ২০২৩-২৪ সালে রোগের প্রকোপ কমে যায়। মাত্র দুজন মিউকরমাইকোসিস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। এবার ২০২৫-এ ফের খোঁজ মিলল এই রোগের। তবে আমরা সফল অস্ত্রোপচার করেছি।"

Mucormycosis: কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বিরল সংক্রমণ, এতদিন বাদে আবারও উত্তরবঙ্গে ফিরল সেই ভয়
মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

শিলিগুড়ি:  কোভিডকালে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছিল মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। উত্তরবঙ্গে একাধিক আক্রান্তের মৃত্যুও হয়। কোভিড পিরিয়ড কাটতেই থেমে যায় এই রোগের সংক্রমণ। কিন্তু আবারও উত্তরবঙ্গে ছড়াল এই আতঙ্ক। ২০২৫-এর শুরুতেই ফের এই রোগের খোঁজ মিলেছে।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুরের  চটহাটের বাসিন্দা টুলি বেগম সাইনাসের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গত মাসের শেষের দিকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করান। তাঁর টিস্যু বায়োপ্সি করেই এই রোগের খোঁজ মেলে। তড়িঘড়ি তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।

ইএনটি বিভাগীয় প্রধান রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন,  “কোভিডকালে ২০২১ সালে ৩৯টি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। ২০২৩-২৪ সালে রোগের প্রকোপ কমে যায়। মাত্র দুজন মিউকরমাইকোসিস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। এবার ২০২৫-এ ফের খোঁজ মিলল এই রোগের। তবে আমরা সফল অস্ত্রোপচার করেছি।”

মিউকরমাইকোসিস কী?

মিউকরমাইকোসিস একটি বিরল কিন্তু গুরুতর ছত্রাক সংক্রমণ। সাধারণত সাইনাস, ফুসফুস, ত্বক, এবং মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। মাথাব্যথা, সাইনাসের ব্যথা, দৃষ্টি পরিবর্তন, চোখের চারপাশে ফোলাভাব, ত্বকের আলসার ছড়িয়ে পড়া ইত্যাদি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই সংক্রমণ বিরল। তবে কোভিডের সময়ে মিউকরমাইকোসিসের প্রার্দুভাব হয়েছিল। কিন্তু এখন সেভাবে ভয় পাওয়ায় কিছু নেই।

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ইএনটি স্পেশ্যালিস্ট রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, “গত ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ বছর চৌত্রিশের ওই মহিলার সাইনাস ইনফেকশনের অপারেশন হয়েছিল। যে টিস্যু বায়োপ্সির জন্য পাঠাই, তার রিপোর্ট আসে। তাতেই ব্ল্যাক ফাঙ্গার্স ধরা পড়ে। রোগী ভর্তি করিয়ে এমআরআই করি, তাতেও সেটাই ধরা পড়ে। অপারেশন করি। দুটো সাইনাসেই অপারেশন করি। ইমিউনিটি কম থাকলে এই ধরনের সংক্রমণ হয়। তবে এই মহিলার কোনও কোভিডের হিস্ট্রি ছিল না। কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভে প্রচুর সংক্রমণ হয়েছিল। এখন এই বছরে নতুন এই কেস পেলাম।”

Next Article