Baloch Attacks Pakistani Army: পাকিস্তানের বুকে পুলওয়ামার ছায়া, সেনা কনভয়ে ঢুকল বিস্ফোরক-বোঝাই গাড়ি, ক্ষণিকেই সব শেষ
Baloch Attacks Pakistani Army: কিছুতেই ফাঁড়া কাটছে না পাকিস্তানি সেনার। রবিবার কোয়েটা থেকে তাফতানগামী একটি পাকিস্তানি সেনা কনভয়ের উপর হামলা চালায় বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি।

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের অন্দরে নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে বালোচপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা। কিছুতেই ফাঁড়া কাটছে না পাকিস্তানি সেনার। রবিবার কোয়েটা থেকে তাফতানগামী একটি পাকিস্তানি সেনা কনভয়ের উপর হামলা চালায় বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় প্রায় সাত জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে ও আহত হয়েছেন ২১ জন। তবে পাকিস্তানি সেনার এই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করেছে বালোচপন্থী সন্ত্রাসীরা। তাদের দাবি, এই হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন পাকিস্তানি জওয়ানের প্রাণ নিয়েছে তারা।
#BREAKING: 12 Pak soldiers killed and over 26 injured as Pakistani FC forces bus comes under attack followed by heavy gunfire in the Rakshani Mill area of Regional Corporate Development N-40 highway in Noshki, Balochistan. Ambulances and choppers were seen rushing to the spot. pic.twitter.com/ZOqsh1PFzG
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) March 16, 2025
এই হামলার প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি সংগঠনের তরফে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বালোচ লিবারেশন আর্মির মাজিদ ব্রিগেড, কয়েক ঘণ্টা আগেই নোশকি এলাকার রাখশান মিলের কাছে সেনা কনভয়ে হামলা চালায়। সেই কনভয়ে মোট ৮টি পাকিস্তানি সেনার বাস ছিল। যা বোমা হামলায় উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানি এক সেনাকর্তার দাবি, ‘রবিবার কোয়েটা থেকে তাফতানের দিকে যাচ্ছিল ওই সেনা কনভয়টি। যার মধ্য়ে সাতটি বাস ও দু’টি সেনার গাড়ি ছিল। তখনই বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে সেনার বাসে। তারপর ঘটে বিস্ফোরণ। সেই সময়ই আবার অন্যদিক থেকে চলে রকেট হামলাও।’
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সেই এলাকা থেকে আহতদের উদ্ধার করতে একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। গোটা চত্বরে তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ, গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, প্রথমে ট্রেন অপহরণ, তারপর পরপর দু’বার পাকিস্তানি সেনার কনভয়ে হামলা চালাল বালোচ লিবারেশন আর্মি। গত বছর থেকেই একটু একটু করে ফের মাথা চাড়া দিচ্ছিল তারা। পাকিস্তানে নানা এলাকায় চলছিল জঙ্গি হানা। নতুন বছর পড়তেই সেই স্বাধীনতার দাবিকে চাঙ্গা করেই আবার ময়দানে নেমে পড়েছে তারা।





