Purba Bardhaman: তৃণমূল উপপ্রধান খুনে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার সংশোধনাগারে
Purba Bardhaman: সংশোধনাগার ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে গোপীনাথপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মৃত্যঞ্জয় বেরা খুন হন। উপপ্রধানের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।

বর্ধমান: বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনগারে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির মৃত্যু। শনিবার শৌচাগার থেকে ওই সাজাপ্রাপ্ত বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সাঁতরা ওরফে বুবাই(৩৩)। বাড়ি হুগলি জেলার ধনিয়াখালি থানার কুমরুল গ্রামে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবারের।
সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ঝুলন্ত অবস্থায় শৌচাগার থেকে সাজাপ্রাপ্ত ওই বন্দিকে উদ্ধার করা হয়। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা ওই বন্দিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সংশোধনাগার ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে গোপীনাথপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান মৃত্যঞ্জয় বেরা খুন হন। উপপ্রধানের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। এই খুনের মামলাতেই আদালত অন্যতম অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ সাঁতরা-সহ বেশ কয়েকজনকে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দেয়। সেই থেকেই বিশ্বজিৎ সাঁতরা বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দী ছিলেন। বিশ্বজিৎও তৃণমূল করতেন বলে জানা গিয়েছে।
এই খবরটিও পড়ুন
যদিও বন্দির মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁর পরিবারের তরফে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিজনরা।
মৃত যুবকের পিসি চায়না বাগ অভিযোগ করেন, “জেলের ভিতর বিশ্বজিতের উপর অত্যাচার হত। ২ মাস আগে ভাইপো জেলের ভিতর ২০টা ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল বলে জেলের তরফে জানিয়েছিল। কিন্তু, ভাইপো কোথা থেকে ২০টা ঘুমের ওষুধ পেয়েছিল? আমাকে বিশ্বজিৎ ফোনে বলেছিল, পিসি আমায় হুমকি দিয়েছে যে তোকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেব। মারধর করা হয় বলে জানিয়েছিল ভাইপো। আমাদের ধারণা, ওকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা তদন্ত চাইছি। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। থানা অভিযোগ নেয়নি।”





