Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sunita Williams: বাচ্চাদের মতো হয়ে গিয়েছে সুনীতার পা, হাঁটতে পারবেন তো পৃথিবীতে এসে?

Sunita Williams: মহাকাশে যত না অসুবিধা হবে, পৃথিবীতে ফেরার পরে আরও বেশি বিপদে পড়তে হবে তাঁদের বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। পৃথিবীতে ফিরে কী কী সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন সুনীতারা?

Sunita Williams: বাচ্চাদের মতো হয়ে গিয়েছে সুনীতার পা, হাঁটতে পারবেন তো পৃথিবীতে এসে?
Follow Us:
| Updated on: Mar 16, 2025 | 2:09 PM

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছে স্পেসএক্সের ক্রিউ-১০ মহাকাশযান। অবশেষে ন’মাস পরে ঘরে ফিরবেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরে। কিন্তু দীর্ঘ ন’মাস মহাকাশে থাকার পরে নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দুই মহাকাশচারীকেই। এমনিতে অনেকটা রুগ্ন হয়ে গিয়েছে সুনীতা উইলিয়ামসের চেহারা। তার উপরে ‘বেবি ফিট’, ‘বোন ডেনসিটি লস’-এর মতো একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। যার ফলে মহাকাশে যত না অসুবিধা হবে, পৃথিবীতে ফেরার পরে আরও বেশি বিপদে পড়তে হবে তাঁদের বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। পৃথিবীতে ফিরে কী কী সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন সুনীতারা?

বেবি ফিট বা শিশুদের মতো পা – জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরে মহাকাশে থাকার ফলে সুনীতাদের পা একটি শিশুর পায়ের মতোই নরম হয়ে গিয়েছে। যার ফলে পৃথিবীতে ফিরে পা ফেলে হাঁটতে অসম্ভব সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। পৃথিবীতে হাঁটার সময়, আমাদের পা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে মাটিতে থাকে, ফলে ঘর্ষণ এবং প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়, যা তলার ত্বককে ঘন করে তোলে। ফলে ব্যথা কম হয়। অনান্য ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়।

তবে, মহাকাশে মাসের পর মাস কাটানোর পর, শক্ত ত্বক উঠে যায় এবং পা খুব নরম এবং কোমল হয়ে যায়। এই ত্বক আবার শক্ত হতে কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। হাঁটা অস্বস্তিকর এমনকি কষ্টকরও হতে পারে।

হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস – মহাকাশে দীর্ঘদিন থাকার ফলে হাড়ের ঘনত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। যা অনেক সময় অপূরণীয় হয়ে ওঠে। নাসার মতে , মহাকাশে প্রতি মাসে, নভোচারীদের ওজন বহনকারী হাড়ের ঘনত্ব প্রায় এক শতাংশ কম হয়ে যায় যদি তাঁরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন। আসলে মহাকাশে ঘোরাঘুরি করার সময় কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে না, ফলে পেশিগুলিও দুর্বল হয়ে পড়ে।

রক্তের পরিমাণ হেরফের – এক মহাকাশচারীর শরীরে রক্তের পরিমাণও কমে যেতে পারে। মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণের বিরুদ্ধে হার্টকে বেশি ​​পাম্প করতে হয় না ফলে পরিশ্রম কম হয়। শরীরে রক্ত ​​প্রবাহের ধরণও পরিবর্তিত হয়। কিছু জায়গায় গতি কমে যায়, ফলে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। তরল পদার্থও সহজে নেমে আসে না বা নিষ্কাশন হয় না। দৃষ্টি শক্তিতে প্রভাব পড়তে পারে।

রেডিয়েশন – মহাকাশে সময় কাটানোর সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল নানা ক্ষতিকারক রেডিয়েশনের সংস্পর্শে আসা। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং চৌম্বক ক্ষেত্র উচ্চ মাত্রার ক্ষতিকারক রেডিয়শনের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু মহাকাশে সেই সব রক্ষা কবচ নেই তাই তা মানবদেহের ক্ষতি করে। নাসা জানিয়েছে মহাকাশচারীরা প্রধানত তিন ধরণের বিকিরণের সংস্পর্শে আসেন। এর মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে আটকে থাকা কণা, সূর্যের ক্ষতিকারক কিরণ এবং গ্যালাকটিক কসমিক রে।