Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rudram IV: ভারতের ‘রুদ্র’-র তেজে এবার ছারখার হবে শত্রুর সেনা

ভারতীয় নৌসেনার 'রুদ্র' আরও প্রখর, আরও তীব্রতর হচ্ছে। ব্রহ্মস এনজি-র পর এবার রুদ্র-র তেজে পুড়বে শত্রুর সেনা। ব্রহ্মস এনজি ও রুদ্র একযোগে ভারতের জলসীমাকে আরও নিরাপদ রাখবে।

Rudram IV: ভারতের 'রুদ্র'-র তেজে এবার ছারখার হবে শত্রুর সেনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2025 | 6:09 PM

ভারতীয় নৌসেনার ‘রুদ্র’ আরও প্রখর, আরও তীব্রতর হচ্ছে। ব্রহ্মস এনজি-র পর এবার রুদ্র-র তেজে পুড়বে শত্রুর সেনা। ব্রহ্মস এনজি ও রুদ্র একযোগে ভারতের জলসীমাকে আরও নিরাপদ রাখবে।

‘ব্রহ্মস এনজি’-র পর এবার আসছে নয়া প্রজন্মের ‘রুদ্র এম ৪’ মিসাইল বা ‘রুদ্রম ৪’। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনা দাদাগিরি ঠেকাতে একজোড়া অ্যাডভান্সড ন্যাভাল অ্যান্টি-শিপ ওয়েপন সিস্টেম ‘আপগ্রেড’ করছে ভারত। করে তোলা হচ্ছে আরও ঘাতক। পরবর্তীতে এদেরই নাম দেওয়া হতে পারে ‘রুদ্রম ৪’।

ডিআরডিও-র ন্যাভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের মিডিয়াম (NASM-MR) ও লং রেঞ্জ স্ট্যান্ড অফ ওয়েপন (LRSOW) হিসাবে তৈরি হচ্ছে ‘রুদ্র-এম -৪’ বা ‘রুদ্রম ৪’। নয়া রুদ্র-র হামলার দক্ষতা হবে আরও মারাত্মক ও নিখুঁত। শত্রুপক্ষের বোমারু বিমানকে নিশানা করে নিখুঁত হামলা করতে একবার লঞ্চপ্যাড থেকে ‘রুদ্র’কে তাক করে ছেড়ে দিলেই হল। ৯৯.৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই নিখুঁতভাবে নিশানায় হামলা চালাতে সক্ষম হবে রুদ্র।

নতুন ‘রুদ্র’কে যে লঞ্চপ্যাড থেকে ছাড়া হবে, তার হদিশও জানতে পাবে না শত্রুপক্ষ, এতটাই ঘাতক করা হচ্ছে তাকে। এমনকী, আপগ্রেডেশনের পর বিপক্ষের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও রুদ্রকে মাঝআকাশে নিরস্ত্র করতে পারবে না। স্বাভাবিকভাবেই, এই খবর চিন ও পাকিস্তানের উদ্বেগ বহুগুণে বাড়িয়ে দিল।

ব্রহ্মস ‘এ’ ও ব্রহ্মস ‘এনজি’-র পাশাপাশি এই দুটি আপগ্রেডেড হাইস্পিড অ্যান্টি-ক্রুজ মিসাইল একবার ভারতীয় সেনার ভাঁড়ারে চলে এলে চিনা নৌসেনাও সমীহ করতে বাধ্য হবে ভারতকে। মিডিয়াম রেঞ্জের নয়া ‘রুদ্রম’-এর পাল্লা হবে ৩৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। ডিআরডিও-র প্রথম প্রজন্মের রুদ্রম ১ ও রুদ্রম ২ কিন্তু নৌসেনার অ্যান্টি-শিপ মিসাইল বা যুদ্ধজাহাজকে ধ্বংসকারী মিসাইল ছিল না, ছিল এয়ার টু সারফেস মিসাইল। মূলত শত্রুর রেডার বা নজরদারি সিস্টেমকে ধ্বংস করার লক্ষেই রুদ্র-র জন্ম। রুদ্রম-২ যুদ্ধজাহাজ থেকে শত্রুর ঘাঁটি ধ্বংসে ব্যবহারের লক্ষ্যে বানানো।

ডিআরডিও-রই পরবর্তী প্রজন্মের ন্যাভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের নাম হচ্ছে ‘রুদ্রম-৪’ যা বিপক্ষের যুদ্ধজাহাজকে ধ্বংস করতে তৈরি করছে ভারত। সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্র ৫ মিটার উপর দিয়ে উড়বে রুদ্রম-৪, যে কারণে বিপক্ষের রেডারে ধরা পড়া কার্যত অসম্ভব। ২০২৩-এর শেষেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল মিডিয়াম রেঞ্জের ন্যাভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইল তৈরির ছাড়পত্র দেয়। নয়া ব্রহ্মস ও রুদ্র-কে দিয়ে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক ধরণের ‘ডিফেন্স ইকো-সিস্টেম’ বানাতে চাইছে যাকে ভেদ করতে পারবে না চিনও। রুদ্রমের অর্থ– গর্জন। আক্ষরিক অর্থেই বিপক্ষের উপর গর্জাবে নয়া রুদ্রম-৪।