মালদহ: উত্তরবঙ্গ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফের কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরকন্যায় বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী। বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্রকে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘ম্যান মেড বন্যার’ তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন। ডিভিসি-কে দুষে প্রধানমন্ত্রীকে দুবার চিঠিও করেছেন। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আরও একবার কেন্দ্রকে দুষে বললেন, “দক্ষিণবঙ্গ ডিভিসি-র জলে যেমন ভেসেছে, উত্তরবঙ্গে নেপাল থেকে কোশী নদীর জল ছেড়েছে। ৫ লক্ষ কিউসেক টন জল ছেড়েছে। ওই জল বিহার হয়ে বাংলায় ঢুকছে।” উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিনি বলেন,”একদিকে সঙ্কোচ নদীর জলে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বিধ্বস্ত, অন্যদিকে, নেপালের জলে বিহার হয়ে ঢুকছে, ফলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।”
ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং না করায় এখন বাংলার এই পরিস্থিতি বলে তোপ দাগেন মমতা। তিনি বলেন, “আজকে ২০ বছর হয়ে গিয়েছে। ড্রেজিং করে না। ফরাক্কা যদি জলটা রাখতে পারত, তাহলে বাংলায় এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। তবে ড্রেজিং করলে রাখতে পারত, তাহলে মালদহ, সুতি, ফরাক্কায় বন্যা হত না। কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেটা করেনি। ফরাক্কা ব্যারেজ দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র দেখে। আগে ওরা ১২০ কিলোমিটার দেখভাল করত। এখন সেটা ২০ কিলোমিটার দেখে। কিছুই করে না।”
আলিপুরদুয়ার আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে,আগামী দু তিন দিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে। ২ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পঙ, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। মহালয়া দিনে দক্ষিণবঙ্গে হালকা মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা, ভারী বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গে উত্তরের জেলাগুলিতে মহালয়া দিন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। যেহেতু বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে, তাই নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই।
ইতিমধ্যেই ফুলাহারে জলে প্লাবিত রতুয়া, মানিকচক। গঙ্গার জলে গত দেড় মাস ধরে প্লাবিত ভূতনি। মহানন্দার জলে ডুবে রয়েছে ইংরেজবাজারও। ফলে মালদহের দুর্দশা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।