শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে এই মন্দির ঘিরে রয়েছে সাবেক শিলিগুড়ি ও স্বাধীনতা আন্দোলনের নানা স্মৃতি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় চারণকবি মুকুন্দ দাসের ভূমিকার কথা অজানা নয় কারওর কাছে। বিপ্লবী ও দেশবাসীদের নিজেদের গানের মাধ্যমে আন্দোলনে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি স্বদেশী আন্দোলনের সময় স্বদেশী গান ও নাটক রচনা করে ব্রিটিশ শাসকদের কুনজরে পড়েছিলেন তিনি।
১৯২৪ সালের মে মাসে বরিশাল থেকে শিলিগুড়ি এসেছিলেন তিনি। কথিত, সে সময় ডিআই ফান্ড মার্কেটের পাশে বর্তমান শিলিগুড়ি থানার পিছনে টিনের তৈরি একটি কালীবাড়িতে আশ্রয় নেন। সে সময় মন্দিরের পরিস্থিতি দেখে গান গেয়ে মন্দির পাকা করার উদ্যোগ নেন। তখন থেকেই চলছিল ভাবনাচিন্তা। বেশ কয়েক মাস তিনি গান গেয়ে ৫০১ টাকা দক্ষিণা জোগাড় করে মন্দির গড়ার জন্য দান করেছিলেন।
১৯২৬ সালে স্বাধীনতার বহু আগে এই মন্দিরে প্রবেশ করেন মা কালী। কাশী থেকে আনা হযেছিল আনন্দময়ী কালীমূর্তি। মন্দিরে সবরকম আয়োজন করেন মুকুন্দ দাস। এভাবেই শুরু হয় মন্দিরের পথচলা। নামও রেখেছিলেন তিনি, ‘আনন্দময়ী কালীবাড়ি’।
পুরনো উদ্যোক্তাদের মুখে শোনা গিয়েছে, পুজোর সময় দেশের ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে মন্দিরে একত্রিত হতেন বিপ্লবীরা। মন্দির প্রাঙ্গণে চলত শরীরচর্চা। বৈঠক বসত এই মন্দিরেই। ব্যায়াম ও খেলাধুলোর মাধ্যমে নিজেদের শরীরকে চাঙা রাখতেন বিপ্লবীরা। ব্রিটিশ রাজ থেকে মুক্তি পাওয়ার একাধিক পরিকল্পনাও করতেন বিপ্লবীরা এই মন্দির প্রাঙ্গণেই।