শিলিগুড়ি: মধ্যরাতে শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা বন্দুক দেখিয়ে সাধুদের মিশন থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। থানা-বিএলআরও অফিসের দ্বারস্থ সাধুরা। গত রবিবারের রাতের ঘটনার পর এখনও অধরা হামলাকারীরা। উল্টে এই পরিস্থিতিতে রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধেই দায়ের হল জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
১৯ মে মধ্যরাতে ঠিক কী ঘটেছিল?
শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী থাকেন। অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ জনা পঁত্রিশেক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিশনের ঘরে ঢোকে। সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
সোমবার প্রকাশ্যে আসে সেই ঘটনা। সোমবার বিকাল পাঁচটায় ভক্তিনগর থানায় রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। মূল অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তি। মিশন অভিযোগ দায়েরের ঠিক এক ঘণ্টা পরেই প্রদীপ রায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ভক্তিনগর থানাতেই। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, মিশনের হামলায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় থানা যাওয়ার পরও কেন গ্রেফতার করা হল না তাঁকে?
এরই মধ্যে আরও চাঞ্চল্যকর একটি বিষয়। পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিশনের দায়ের করা প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর-এ পুলিশ লঘু ধারায় মামলা রুজু করেছে। উল্টে প্রদীপ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রদীপ রায়ের অভিযোগ, দেড় একর জমি জবরদখলের চেষ্টা করছে মিশন।
কিন্তু মিশনের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?
সেবক রোডের চার মাইলে দেড় একর জমি-সহ দোতলা বাড়িটি জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা সুনীলকুমার রায় উইল করে তা দান করেছিলেন। কিন্তু পরে প্রদীপ রায় নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই জমির মালিক হিসাবে নিজেকে দাবি করতে থাকেন। সেই জমির মালিকানা নিয়ে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। আদালতের রায়ে সেই সম্পত্তি এখন মিশনের হাতেই রয়েছে। স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মিশন কর্তৃপক্ষ। আর তা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। মিশনের বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শিলিগুড়িতে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক পেশায় আইনজীবী অত্রি শর্মা বলেন, “উচ্ছেদকারীরা যে উদ্দেশ্যে মিশনের হেফাজতে থাকা বিতর্কিত জমি থেকে মিশনের কর্মীদের বার করে দেয়। তারপর পুলিশ সেই জমিটি সিল করে নেয়। তদন্তের নামে সিল করে দিয়ে পুলিশ কার্যত উচ্ছেদকারীদের অভিসন্ধিকে সমর্থন করেছে।” ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পরও প্রদীপ গ্রেফতার হননি। মিশনের কর্মীদেরও তাঁর নিজ জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা
৪৫৭ জামিন যোগ্য
৪২৭ জামিন যোগ্য
৩২৫ জামিন যোগ্য
৩৭৯ জামিন অযোগ্য
৫০৬ জামিন যোগ্য
★অভিযোগে বন্দুকের ব্যবহার বলা হলেও অস্ত্র আইনে মামলা নেই। চুরির অভিযোগে ধারা। সহজেই আগাম জামিন বা জামিন হতে পারে।
প্রদীপের অভিযোগের ভিত্তিতে মিশনের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা
৪৪৭ জামিন যোগ্য
১৮৮ জামিন যোগ্য
৫০৬ জামিন যোগ্য
৩(১)(জি)(আর)(এস) জামিন অযোগ্য (★কঠিন ধারা, ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক এর তদন্ত করেন। এর সাজা ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর। এই ধারায় আগাম জামিন হয় না। ফলে আগাম জামিন পাবেন না অভিযুক্ত মিশনের সন্ন্যাসীরা।
শিলিগুড়ি: মধ্যরাতে শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা বন্দুক দেখিয়ে সাধুদের মিশন থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। থানা-বিএলআরও অফিসের দ্বারস্থ সাধুরা। গত রবিবারের রাতের ঘটনার পর এখনও অধরা হামলাকারীরা। উল্টে এই পরিস্থিতিতে রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধেই দায়ের হল জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।
১৯ মে মধ্যরাতে ঠিক কী ঘটেছিল?
শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী থাকেন। অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ জনা পঁত্রিশেক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিশনের ঘরে ঢোকে। সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
সোমবার প্রকাশ্যে আসে সেই ঘটনা। সোমবার বিকাল পাঁচটায় ভক্তিনগর থানায় রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। মূল অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তি। মিশন অভিযোগ দায়েরের ঠিক এক ঘণ্টা পরেই প্রদীপ রায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ভক্তিনগর থানাতেই। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, মিশনের হামলায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় থানা যাওয়ার পরও কেন গ্রেফতার করা হল না তাঁকে?
এরই মধ্যে আরও চাঞ্চল্যকর একটি বিষয়। পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিশনের দায়ের করা প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর-এ পুলিশ লঘু ধারায় মামলা রুজু করেছে। উল্টে প্রদীপ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রদীপ রায়ের অভিযোগ, দেড় একর জমি জবরদখলের চেষ্টা করছে মিশন।
কিন্তু মিশনের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?
সেবক রোডের চার মাইলে দেড় একর জমি-সহ দোতলা বাড়িটি জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করা হয়েছিল। জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা সুনীলকুমার রায় উইল করে তা দান করেছিলেন। কিন্তু পরে প্রদীপ রায় নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই জমির মালিক হিসাবে নিজেকে দাবি করতে থাকেন। সেই জমির মালিকানা নিয়ে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। আদালতের রায়ে সেই সম্পত্তি এখন মিশনের হাতেই রয়েছে। স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মিশন কর্তৃপক্ষ। আর তা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। মিশনের বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শিলিগুড়িতে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক পেশায় আইনজীবী অত্রি শর্মা বলেন, “উচ্ছেদকারীরা যে উদ্দেশ্যে মিশনের হেফাজতে থাকা বিতর্কিত জমি থেকে মিশনের কর্মীদের বার করে দেয়। তারপর পুলিশ সেই জমিটি সিল করে নেয়। তদন্তের নামে সিল করে দিয়ে পুলিশ কার্যত উচ্ছেদকারীদের অভিসন্ধিকে সমর্থন করেছে।” ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা পরও প্রদীপ গ্রেফতার হননি। মিশনের কর্মীদেরও তাঁর নিজ জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়নি।
অভিযুক্ত প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা
৪৫৭ জামিন যোগ্য
৪২৭ জামিন যোগ্য
৩২৫ জামিন যোগ্য
৩৭৯ জামিন অযোগ্য
৫০৬ জামিন যোগ্য
★অভিযোগে বন্দুকের ব্যবহার বলা হলেও অস্ত্র আইনে মামলা নেই। চুরির অভিযোগে ধারা। সহজেই আগাম জামিন বা জামিন হতে পারে।
প্রদীপের অভিযোগের ভিত্তিতে মিশনের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা
৪৪৭ জামিন যোগ্য
১৮৮ জামিন যোগ্য
৫০৬ জামিন যোগ্য
৩(১)(জি)(আর)(এস) জামিন অযোগ্য (★কঠিন ধারা, ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক এর তদন্ত করেন। এর সাজা ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর। এই ধারায় আগাম জামিন হয় না। ফলে আগাম জামিন পাবেন না অভিযুক্ত মিশনের সন্ন্যাসীরা।