শিলিগুড়ি: স্বাস্থ্য দফতরের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু উত্তরবঙ্গ লবি। তাদের নির্দেশেই চলে যাবতীয় ‘কাজ’। আরজি করের আবহে শুরু থেকেই উঠছে এই অভিযোগ। সেই লবির শীর্ষে নাকি রয়েছেন চিকিৎসক সুশান্ত রায়, আর দুই প্রান্তে অভিক দে ও বিরুপাক্ষ বিশ্বাস। সেই বিরুপাক্ষের বাড়িতে গেল টিভি ৯ বাংলা। শিবমন্দিরে মাস্টারপাড়ায় চারতলা বাড়ির নেমপ্লেটে জ্বলজ্বল করছে বিরুপাক্ষের নাম। বেল টিপতেই দূর থেকে তার মা এসে জানান বিরুপাক্ষ নেই। কোথায় আছেন? তা বললেন না তিনি।
তবে এই লবির বিরুদ্ধে এবার ইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি। বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি, “এদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হোক। আমি ইডি, সিবিআইকে কিছু তথ্য দিয়ে আবেদন করব। এরা ঘটনার দিন আর জি করে কি করছিলেন। যারা দোষীদের আড়াল করলেন তারাও দোষী। এদের বিরুদ্ধে থ্রেট সিন্ডিকেট, প্রশ্নফাঁস, নাম্বার বাড়ানো-সহ নানা সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেই সঙ্গেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিরুপাক্ষকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের অন্তর্গত কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪ তারিখ এই অর্ডারের পরের দিনই ৫ তারিখ আবার বিরুপাক্ষকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য ভবন। নোটিসও দেওয়া হয় স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। সূত্রের খবর, এদিনই আবার অভীক দে এবং বিরুপাক্ষ বিশ্বাসের সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছ ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল। তা নিয়েও চলছে চর্চা।