শিলিগুড়ি: বন্যা, ধসে বিধ্বস্ত উত্তরের জেলাগুলি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার শিলিগুড়ি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় বৈঠক করেন তিনি। এরপরই সাংবাদিক বৈঠকে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্য না পাওয়া নিয়ে সরব হন তিনি। বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় শস্যবিমার সময় ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।
দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা বন্যায় বিপর্যস্ত। রাজ্যে বন্যা নিয়ে ডিভিসিকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠিতে বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তিনি। কিন্তু, বন্যা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যায়নি বলেও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেন্দ্র বন্যা মোকাবিলায় টাকা দেয় না। ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না।” প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলে প্রতিমন্ত্রীরা জবাব দেন বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
জলপাইগুড়ির টাকিমারি সংলগ্ন এলাকায় ২ দিন আগে হুকিংয়ের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্য়ু হয়। ওই পরিবারের দুই সদস্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের ৫ লক্ষ ও ৩ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। গতকাল শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ৬টি দোকান পুড়ে গিয়েছে। সেই দোকানগুলির মালিকদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারে তিনি জোর দেন। বিধায়ক, সাংসদদের গ্রামীণ রাস্তা তৈরির নির্দেশ দেন। মমতা বলেন, “সাংসদ, বিধায়করা গ্রামীণ রাস্তা করবে। বাকি আমরা করব।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পুজো বলে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না। বন্যাত্রাণ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। পুলিশের কাজেরও এদিন প্রশংসা করেন তিনি।
সোমবার কলকাতা ফিরবেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা ফিরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন। আবার দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও বৈঠক করবেন বলে জানালেন।