শিলিগুড়ি: দীপাবলির সন্ধ্যায় বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের (Ashok Bhattacharya) বাড়িতে হাজির হন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (BJP MP Raju Bista)। সঙ্গে ছিলেন এক সময় সিপিএমের দাপুটে নেতা, বর্তমানে যিনি বামপন্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপিতে গিয়ে বিধায়কও হয়েছেন, সেই শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। এই তিনজনের সাক্ষাৎ ঘিরে মঙ্গলবার বিস্ফোরক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায়। ‘সরকার ফেলতে বৈঠক’ বলে দাবি করা হয় সেখানে। যদিও এই সাক্ষাৎকে একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেছেন অশোকবাবু। অন্যদিকে শঙ্কর ঘোষও দাবি করেন, এখানে রাজনীতির কোনও প্রশ্নই নেই। সবটাই সৌজন্যমূলক। একই দাবি সাংসদ রাজু বিস্তারও। কিন্তু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাজু-শঙ্কর দু’জনই বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল বিরোধী ‘মানুষের মহাজোটে’ কোনও বিরোধ নেই। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও এই সাক্ষাতে কোনও দোষ দেখছেন না বলেই জানিয়েছেন।
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ টিভি নাইন বাংলার মুখোমুখি হয়ে বলেন, “তৃণমূলের মুখপত্র স্বাভাবিকভাবেই যে অনুপ্রেরণায় চলে, মানে কাশফুল দিয়ে বালিশ বানানোর কথা আমরা শুনেছি। এই শৈল্পিক ভাবনার কারণে তৃণমূলের সরকারের গ্রহণ লেগেছে। এই ধরনের একটি সাক্ষাৎকে নিয়েও তাই এরকম খবর প্রকাশ করছে। এটা তৃণমূলের পক্ষেই করা সম্ভব। দীপাবলির সময় একে অপরের বাড়ি যাওয়া, সৌজন্য বিনিময়ের একটা সংস্কৃতি আমাদের আছে। সেটাই হয়েছে।”
কিন্তু তৃণমূল বলছে শুভেন্দু অধিকারী বা বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির একাধিক নেতার মুখে বারবার যখন রাজ্য সরকার নিয়ে ‘ডিসেম্বর’-এর ডেটলাইন শোনা যাচ্ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই সাক্ষাৎ নিয়ে কোনও সরলীকরণে তারা নেই। বরং কালীপুজো মিটলেই আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাসকদল।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য শঙ্কর ঘোষ বলেন, “শুভেন্দুদা বারবার একটা কথাই বলছেন, দুর্নীতির কারণে এই সরকারের বেশিদিন চলা আর সম্ভব নয়। আমি বলছি, কিছু নেতা জেলে আছেন, কিছু নেতা বেলে আছেন। আর কিছু জেলে যাবেন বলে তৈরি হচ্ছেন। এই অবস্থায় একটা সরকার ধসে যেতে পারে। মাইনে দিতে পারবে না, দুর্নীতির দায়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা যদি জেলে যান সরকার চলবে কী করে? শুভেন্দুদা বারবার বলেছেন সরকারটা কোলাপস করে যাবে। কোলাপস করা আর ভেঙে যাওয়া কতটা সমার্থক সেটা সময়ই বলবে।”
একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়কের সংযোজন, “বিজেপি আর বামেরা ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতি করে। তাদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি আরও একটা কথা বেশিরভাগ সময়ই বলেছি, মানুষের মহাজোট। তৃণমূল বিরোধী সব মানুষের মহাজোট তৈরি করে বিজেপি এই সরকারের অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করবে।”
অন্যদিকে সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “দীপাবলির সময় ছিল তাই গিয়েছিলাম। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সঙ্গে ছিলেন। এটাকে কোনওভাবেই রাজনীতির রঙে রাঙালে ঠিক হবে না। কিন্তু বাংলার কথা ভেবে একটা কথা বলব, কাল অশোকদার সঙ্গেও কথা বলে যেটা মনে হয়েছে, বাংলার যে পরিস্থিতি তার দায় তৃণমূলের। তৃণমূল ছাড়া আর যত দল আছে সকলের একটাই লক্ষ্য। তৃণমূল বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলা শেষ করে দেবে। বাংলাকে বিনাশ থেকে বাঁচাতে সকলের একই লক্ষ্য তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো।”
অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে শঙ্কর ঘোষ ও রাজু বিস্তার সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং বিজেপির দলের যে সংস্কৃতি বা দল যেভাবে চলে সেখানে রাজু বিস্তা বা শঙ্কর ঘোষেরা গিয়ে দলের এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারেন না। নিঃসন্দেহে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যের একটি উপস্থিতি আছে, গ্রহণযোগ্যতা আছে। অনেক প্রবীণ রাজনীতিক। তাই তাঁর কাছে তাঁরা যেতেই পারেন। তার অর্থ এই নয় একটা চক্রান্ত করার জন্য যাবেন। এটার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।”
শিলিগুড়ি: দীপাবলির সন্ধ্যায় বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের (Ashok Bhattacharya) বাড়িতে হাজির হন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (BJP MP Raju Bista)। সঙ্গে ছিলেন এক সময় সিপিএমের দাপুটে নেতা, বর্তমানে যিনি বামপন্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপিতে গিয়ে বিধায়কও হয়েছেন, সেই শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। এই তিনজনের সাক্ষাৎ ঘিরে মঙ্গলবার বিস্ফোরক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায়। ‘সরকার ফেলতে বৈঠক’ বলে দাবি করা হয় সেখানে। যদিও এই সাক্ষাৎকে একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেছেন অশোকবাবু। অন্যদিকে শঙ্কর ঘোষও দাবি করেন, এখানে রাজনীতির কোনও প্রশ্নই নেই। সবটাই সৌজন্যমূলক। একই দাবি সাংসদ রাজু বিস্তারও। কিন্তু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাজু-শঙ্কর দু’জনই বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল বিরোধী ‘মানুষের মহাজোটে’ কোনও বিরোধ নেই। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও এই সাক্ষাতে কোনও দোষ দেখছেন না বলেই জানিয়েছেন।
বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ টিভি নাইন বাংলার মুখোমুখি হয়ে বলেন, “তৃণমূলের মুখপত্র স্বাভাবিকভাবেই যে অনুপ্রেরণায় চলে, মানে কাশফুল দিয়ে বালিশ বানানোর কথা আমরা শুনেছি। এই শৈল্পিক ভাবনার কারণে তৃণমূলের সরকারের গ্রহণ লেগেছে। এই ধরনের একটি সাক্ষাৎকে নিয়েও তাই এরকম খবর প্রকাশ করছে। এটা তৃণমূলের পক্ষেই করা সম্ভব। দীপাবলির সময় একে অপরের বাড়ি যাওয়া, সৌজন্য বিনিময়ের একটা সংস্কৃতি আমাদের আছে। সেটাই হয়েছে।”
কিন্তু তৃণমূল বলছে শুভেন্দু অধিকারী বা বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির একাধিক নেতার মুখে বারবার যখন রাজ্য সরকার নিয়ে ‘ডিসেম্বর’-এর ডেটলাইন শোনা যাচ্ছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই সাক্ষাৎ নিয়ে কোনও সরলীকরণে তারা নেই। বরং কালীপুজো মিটলেই আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাসকদল।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য শঙ্কর ঘোষ বলেন, “শুভেন্দুদা বারবার একটা কথাই বলছেন, দুর্নীতির কারণে এই সরকারের বেশিদিন চলা আর সম্ভব নয়। আমি বলছি, কিছু নেতা জেলে আছেন, কিছু নেতা বেলে আছেন। আর কিছু জেলে যাবেন বলে তৈরি হচ্ছেন। এই অবস্থায় একটা সরকার ধসে যেতে পারে। মাইনে দিতে পারবে না, দুর্নীতির দায়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা যদি জেলে যান সরকার চলবে কী করে? শুভেন্দুদা বারবার বলেছেন সরকারটা কোলাপস করে যাবে। কোলাপস করা আর ভেঙে যাওয়া কতটা সমার্থক সেটা সময়ই বলবে।”
একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়কের সংযোজন, “বিজেপি আর বামেরা ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতি করে। তাদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি আরও একটা কথা বেশিরভাগ সময়ই বলেছি, মানুষের মহাজোট। তৃণমূল বিরোধী সব মানুষের মহাজোট তৈরি করে বিজেপি এই সরকারের অপশাসন থেকে বাংলাকে মুক্ত করবে।”
অন্যদিকে সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “দীপাবলির সময় ছিল তাই গিয়েছিলাম। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সঙ্গে ছিলেন। এটাকে কোনওভাবেই রাজনীতির রঙে রাঙালে ঠিক হবে না। কিন্তু বাংলার কথা ভেবে একটা কথা বলব, কাল অশোকদার সঙ্গেও কথা বলে যেটা মনে হয়েছে, বাংলার যে পরিস্থিতি তার দায় তৃণমূলের। তৃণমূল ছাড়া আর যত দল আছে সকলের একটাই লক্ষ্য। তৃণমূল বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলা শেষ করে দেবে। বাংলাকে বিনাশ থেকে বাঁচাতে সকলের একই লক্ষ্য তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো।”
অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে শঙ্কর ঘোষ ও রাজু বিস্তার সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং বিজেপির দলের যে সংস্কৃতি বা দল যেভাবে চলে সেখানে রাজু বিস্তা বা শঙ্কর ঘোষেরা গিয়ে দলের এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারেন না। নিঃসন্দেহে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শিলিগুড়িতে অশোক ভট্টাচার্যের একটি উপস্থিতি আছে, গ্রহণযোগ্যতা আছে। অনেক প্রবীণ রাজনীতিক। তাই তাঁর কাছে তাঁরা যেতেই পারেন। তার অর্থ এই নয় একটা চক্রান্ত করার জন্য যাবেন। এটার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।”