হাওড়া: সাম্প্রতিককালে রাজ্যে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রীতিমতো চাপ বেড়েছে প্রশাসনের। এমতাবস্থায় এবার, হাওড়া (Howrah) শালিমারে রঙের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গেল। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রথমেই তদন্তে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই দক্ষিণ কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে দমকল কর্তাদের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে এসি মেশিনে প্রথমে আগুন লাগে। সেখান থেকেই বাকি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এদিকে রঙের কারখানা হওয়ার কারণে সেখানে আগে থেকেই প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। তাতেই আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে দ্রুত চলে যায় কারখানার একটা বড় অংশ। কারখানায় থাকা অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা কাজে লাগিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন কর্মীরা। পরে একে একে দমকলের ৬ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বি গার্ডেন থানার পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শনে আসেন দমকল মন্ত্রী শ্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী অরূপ রায় , শিবপুরের বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। প্রায় ঘন্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জাবিয়েছেন মন্ত্রী সুজিত বসু। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে কারখানার ম্যানাজার অশোক কুমার ভার্মা সহ মোট ১৮ জন আহত হন। অশোক ভার্মা মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আহতের মধ্যে ১৪ জন সিএমআরআই। ৩ জন ডিসান ও ২ জন এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার ভর্তি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন তপন দেশাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন উত্তম দাস। তাঁর শরীরেরও ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।