AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digital Snatching: ‘টাকা নেই তো কী, গুগল পে কর’! অভিনব ডিজিটাল ছিনতাই বাংলায়

Digital Snatching: কা নেই, ফোন পে, গুগল পে কর! আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ডিজিটাল ছিনতাই বাংলার বুকে। বেধড়ক মার খেয়ে যুবক পড়ে চা বাগানে।

Digital Snatching: 'টাকা নেই তো কী, গুগল পে কর'! অভিনব ডিজিটাল ছিনতাই বাংলায়
ছবি- গুগল পে, ফোন পে-র মাধ্যমে আড়াই লক্ষ টাকা ছিনতাই
| Edited By: | Updated on: May 26, 2022 | 9:16 PM
Share

চোপড়া: ডিজিটাল ছিনতাই (Digital Snatching)! তাও আবার হয় নাকি! শুনতে আজব মনে হলেও অবাক করার মত ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। একটি প্রসিদ্ধ মোটর গাড়ি কোম্পানির সেলসম্যানের বাইক আটকে তাঁকে অপহরন করে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় চা বাগানে। তারপর সেখানে চলে বেধড়ক মারধর। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা, সোনার গয়না লুটের পর একেবারে ফোনের অ্যাপ খুলে বলপূর্বক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় (Chopra of North Dinajpur)। ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার (Digital Money Transfer) অ্যাপের সুবিধা থাকলেও তার সুযোগ নিয়ে গোটা রাজ্যেই রোজই চলছে নিত্যনতুন প্রতারণা। কিন্তু, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে একেবারে অ্যাপ খুলে টাকা ট্রান্সফারের অভিযোগ কার্যত নজিরবিহীন।   

বুধবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই ডিজিটালি ছিনতাইয়ের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে চোপড়ার কাচনাডাঙ্গি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ইসলামপুরের বাসিন্দা মিঠুন মন্ডল ওই রাতে মোটর বাইকে চেপে চোপড়ার দাসপাড়া থেকে কোম্পানির টাকা সংগ্রহ করে ফিরছিলেন। সে সময় একদল দুস্কৃতি মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর পথ আটকায় বলে অভিয়োগ। চা বাগানের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁর কাছে থাকা নগদ প্রায় ১০ হাজার টাকা এবং গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। দাবি করা হয় আরও টাকার। কিন্তু, তা দিতে না পারায় শুরু হয় বেধড়ক মারধর। মিঠুনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তার গুগল পে, ফোন পে-র মত অনলাইন মানি ট্রান্সফার অ্যাপের পাসওয়ার্ডও জেনে নেয়। তারপর প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা তাদের বিভিন্ন জনের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয় বলে অভিযোগ৷ 

এদিকে অনেক রাত হয়ে গেলে ছেলে ঘরে না ফেরাতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। খোঁজ-খবর শুরু করতেই তাদের কাছে ছিনতাইকারীরা ফোন করে মুক্তিপন দাবি করে বলে অভিযোগ। এদিকে ওই যুবকের সর্বস্ব লুঠ করে বেধড়ক মারধর করে তাঁর মোবাইল ফোন সহ তাঁকে চা বাগানের মধ্যেই ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুস্কৃতীরা। এরপর কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে ঘরে ফিরেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চোপড়া থানার দ্বারস্থ হন মিঠুন ও তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এদিকে এমনই ঘটনায় হতবাক প্রশাসনও। ঘটনা প্রসঙ্গে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহঃ আজাহারউদ্দিন জানিয়েছেন, “ডিজিটাল মাধ্যম মানুষের কাজের সুবিধার জন্য, কিন্তু যেভাবে দুস্কৃতীরা তার অপব্যবহার করে মানুষের সর্বস্ব লুট করছে সেটা সত্যিই চিন্তার বিষয়। পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে”। ইতিমধ্যেই জোরকদমে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।