রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ মেডিক্যালের র্যাগিংকাণ্ডে নতুন মোড়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অন্য়দিকে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি বা অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড বাস্তবায়ন নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি। তবে অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত, দুই পক্ষকে ডেকে সমস্যার মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর।
প্রসঙ্গত, সোমবারই দ্বিতীয় বর্ষের ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়া রায়গঞ্জের বিধায়কের কাছে যান। তাঁদের অভিযোগ, রায়গঞ্জ মেডিক্যালের অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাসে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও বিধায়ককে জানান তাঁরা। আগেও একাধিকবার সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সমাধান হয়নি বলে দাবি করেন তাঁরা। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছিল নাগরিক মহলে। যাদবপুরের র্যাগিংয়ের অভিযোগে ছাত্রমৃত্যুর পর থেকেই র্যাগিং রোধে কড়া সব কলেজই। সেখানে নতুন করে এই অভিযোগ আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রসাশন। অভিযোগ আসতেই পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। রাতেই ডেকে পাঠান দুই পক্ষকে। চলে আলোচনা।
সেই আলোচনাতেই সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আগামীতে প্রতিনিধি পাঠিয়েও নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্য়েই আলাদা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল। কিন্তু, আগেও অভিযোগ জানানো হলে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? কী করছিল অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি? এই প্রশ্ন তুলেছে ছাত্র পরিষদ, এবিভিপি। তবে রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কৃষ্ণ কল্যাণী সমস্যা সমাধান করতেই পারেন, এতে কোনও সমস্যা নেই বলে পাল্টা দাবি টিএমসিপির।