Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Quack Doctor: কাঠের চৌকিতেই অস্ত্রোপচার! রমরমিয়ে চলছে 'কোয়াক ডাক্তারে'র নার্সিং হোম

Quack Doctor: কাঠের চৌকিতেই অস্ত্রোপচার! রমরমিয়ে চলছে ‘কোয়াক ডাক্তারে’র নার্সিং হোম

Koushik Ghosh

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Updated on: Aug 17, 2023 | 2:18 PM

Quack Doctor: সার দিয়ে রাখা আছে কাঠের চৌকি। নেই কোনও এসি বা অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা। এই ভাবেই চলে চিকিৎসা। এক রোগীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, লোক মুখে শুনেই এসেছেন চিকিৎসা করাতে।

মুর্শিদাবাদ: তিন তলা বাড়িতে চলে নার্সিং হোম। প্রতিদিন বহু রোগীর আনাগোনা। ভিতরে পাতা রয়েছে কয়েকটা কাঠের চৌকি। তার ওপরেই চলে অস্ত্রোপচার! দিনের পর দিন নানা রোগের চিকিৎসা চলে। কিন্তু কে করেন চিকিৎসা? সম্প্রতি সামনে এসেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। নার্সিং হোমের মালিকের মেডিক্যাল ডিগ্রি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। দিনের পর দিন কীভাবে অস্ত্রোপচার করছেন তিনি? অভিযোগ, সাইনবোর্ড আর প্রেসক্রিপশনে থাকা রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মধ্যে নাকি কোনও মিলই নেই কর্তব্যরত চিকিৎসকের। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে দিনের পর দিন চলছে ব্যবসা, সেই প্রশ্নই সামনে আনছেন এলাকার বাসিন্দারা।

মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ঘটনা। নগর এলাকায় রয়েছে এই আদি চাঁদসি চিকিৎসালয়। নিজের তিন তলা বাড়িতেই নার্সিংহোম তৈরি করে ব্যবসা চালাচ্ছেন নিখিল চন্দ্র দাস। রয়েছে একাধিক ঘর। তার মধ্যে সার দিয়ে রাখা আছে কাঠের চৌকি। নেই কোনও এসি বা অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা। এই ভাবেই চলে চিকিৎসা। এক রোগীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, লোক মুখে শুনেই এসেছেন চিকিৎসা করাতে। এর বেশি কিছু জানা নেই তাঁদের।

চিকিৎসককে প্রশ্ন করা হলে তিনি ডিগ্রি বলতে রাজি হননি প্রথমে। জানান বারুইপুরের কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন। কোন প্রতিষ্ঠান প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বোর্ডটা দেখে নিন।’ পরে জানিয়েছেন তিনি প্রাথমিক চিকিৎসক অর্থাৎ কোয়াক ডাক্তার। এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, একজন কোয়াক ডাক্তার কীভাবে এমন বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন? ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও কী করেই বা দিনের পর দিন অস্ত্রোপচার করে চলেছেন। ওই ব্যক্তি জানান, এই সব অভিযোগ সঠিক নয়। চর্মরোগ ছাড়া অন্য কোনও রোগের চিকিৎসা তিনি করেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই ব্যক্তি। সার্টিফিকেট দেখানোর কথা বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি বসিয়ে রাখেন সাংবাদিকদের। তারপর টাকার বিনিময়ে খবর চেপে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে নিখিল চন্দ্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিলেও কিছুই পাওয়া যায়নি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সন্দীপ সান্যাল জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন, খতিয়ে দেখা হবে।