High Court: রাতের অন্ধকারে ১৫ জনকে দিয়ে দেওয়া হয় অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার! ২ বছর পর কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
High Court: ২০২৩ সালে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগে EWS (আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি)-এর জন্য সংরক্ষিত আসনে সঠিকভাবে নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।

জলপাইগুড়ি: নিয়োগ সংক্রান্ত আরও এক অভিযোগে এবার কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ ওঠে বছর দুয়েক আগেই। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় আদালত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আর সেই ঘটনায় কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ পরীক্ষার্থীদের খাতা, রেজাল্ট সহ হলফনামা দিয়ে সব জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। মামলাটি সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি শম্পা সরকার এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
২০২৩ সালে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগে EWS (আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি)-এর জন্য সংরক্ষিত আসনে সঠিকভাবে নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তুলে চলতি বছরের অগস্ট মাসে চাকরি প্রার্থীরা মামলা দায়ের করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রিন্সিপাল বেঞ্চে। বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় ওই মামলা খারিজ করে দেন। এরপর জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চে ফের মামলা করা হয়।
আবেদনকারীদের অভিযোগ ছিল, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে EWS ক্যাটাগরির উল্লেখ না থাকলেও ১৫ জনকে ওই শ্রেণি থেকে নেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের দুর্গা পূজার আগে মোট ১৫ জনকে রাতের অন্ধকারে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়োগের আগে একটি তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ফল ঘোষণার পর ওই ভাইরাল তালিকার নামগুলি মিলেও যায়। এরপরই অভিযোগ সামনে আসে।
অভিযোগকারীদের আইনজীবি শুভঙ্কর দত্ত বলেন, ‘মেখলিগঞ্জ ব্লকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়ম মানা হয়নি। নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগের বিরুদ্ধে আমরা প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা করেছিলাম। পরে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চ আজ কড়া নির্দেশ দিয়েছে। পাশ করা ৭৪৯ জন পরীক্ষার্থীর খাতা, মার্কশিট রিপোর্ট সহ হলফনামা আদালতের কাছে পেশ করতে বলা হয়েছে।‘ একইসঙ্গে মামলাটি সিঙ্গল বেঞ্চে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সার্কিট বেঞ্চের সরকারি আইনজীবী মোমিনুর রহমান জানান, ডিভিশন বেঞ্চ যেভাবে নির্দেশ দিয়েছে, সেই ভাবেই সিঙ্গল বেঞ্চে পরীক্ষার্থীদের স্কোর শিট জমা করা হবে।
