Heat Stroke: ‘দাদা শরীর খারাপ লাগছে? কী হল?’, গোঁ গোঁ শব্দ প্রৌঢ়ের, তারপরই…
Heat Stroke: স্টেশনের এক দোকানদার আকবর আলি জানান, শনিবার ওই প্রৌঢ়কে হুগলি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়। তিনি কেক ও জলও খাওয়ান। এরপর প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চেই শুয়ে পড়েন ওই ভবঘুরে। আকবর জানান, এদিন সকালেও খাবার খেতে দেন তিনি। তবে ওই প্রৌঢ় তা খেতে চাননি।
হুগলি: প্ল্যাটফর্মে বসেছিলেন। তীব্র গরমে একেবারে নাজেহাল দশা। আদুল গা, গলদঘর্ম দশা। হঠাৎই নুইয়ে পড়েন বছর ৫৫-এর এক প্রৌঢ়। মুহূর্তে শেষ! প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হিটস্ট্রোকের বলি ওই ভবঘুরে। ঘটনাস্থল হুগলি স্টেশন। হুগলি স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে বেঞ্চের নীচে বসে ছিলেন ওই প্রৌঢ়।
স্টেশনের এক দোকানদার আকবর আলি জানান, শনিবার ওই প্রৌঢ়কে হুগলি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়। তিনি কেক ও জলও খাওয়ান। এরপর প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চেই শুয়ে পড়েন ওই ভবঘুরে। আকবর জানান, এদিন সকালেও খাবার খেতে দেন তিনি। তবে ওই প্রৌঢ় তা খেতে চাননি।
রবিবার দুপুর তখন আড়াইটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেমন একটা নেতিয়ে বসেছিলেন। সকলে জিজ্ঞাসা করেন, ‘দাদা কী হল, শরীর খারাপ লাগছে?’ কোনও সাড়াশব্দ নেই। কিছুটা গোঙানির শব্দ। এরপর বসে বসেই প্রাণটা বেরিয়ে গেল ওই প্রৌঢ়ের। এখনও মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনার পর স্টেশন মাস্টারকে খবর দেওয়া হয়। তিনি আবার ব্যান্ডেলে খবর পাঠান। বিকাল ৫টা নাগাদ রেলের অ্যাডিশনাল চিফ মেডিকেল অফিসার অভিজিৎ সেনগুপ্ত পৌঁছন হুগলিতে। ব্যান্ডেল জিআরপির কর্মীরাও উপস্থিত হন। পরীক্ষানিরীক্ষার পর মৃত্যু নিশ্চিত করেন। মৃতদেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।
এই খবরটিও পড়ুন
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ৫০ বছরে এমন এপ্রিল বঙ্গবাসী দেখেনি। ১৯৮০ সালে এপ্রিলে একদিন ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়। ২০১৩ সালেও একদিন ৪১ ডিগ্রি হয়, তবে এমন দীর্ঘ দহনবেলা দেখা যায়নি। একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলির গরমেও গায়ে ফোস্কা পড়ার অবস্থা।