হুগলি: রাজ্যে সার্বিক সংক্রমণের (COVID-19) গ্রাফ অনেকটাই নিম্নমুখী। তবে কয়েকটি জেলা নিয়ে উদ্বেগে রাজ্য। সেই মতই কনটেনমেন্ট জ়োনও ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমস্ত জায়গায় বিধি নিষেধের কড়াকড়িও রাজ্যের বাকি জায়গার তুলনায় বেশি। তারকেশ্বরের বালিগড়ি-১ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকাও সেই তালিকায় পড়ে। কিন্তু হাট বাজার খুলে রেখেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুলিশ তা বন্ধ করাতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তি জারির পর ন্যূনতম সময়টুকু দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার থেকে হুগলি জেলার ১১টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা এবং পুরসভার চারটি ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। জেলা প্রশাসন সেইমতো বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া বাকি সবই বন্ধ রাখতে হবে। আগামী সাতদিন এই বিধি নিষেধ মানার কথা বলা হয়েছে।
তালিকায় রয়েছে মগরা ব্লকের কোদালিয়া-১ গ্রামপঞ্চায়েত, গোঘাট-১ ব্লকের গোঘাট-১ গ্রামপঞ্চায়েত, গোঘাট-২ ব্লকের কামারপুকুর গ্রামপঞ্চায়েত, জাঙ্গিপাড়ার জাঙ্গিপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত, খানাকুল-২ ব্লকের নতিবপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েত, পাণ্ডুয়ায় পাণ্ডুয়া গ্রামপঞ্চায়েত, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের রঘুনাথপুর গ্রামপঞ্চায়েত, সিঙ্গুরের বৈচিপোতা, বোরা ও সিঙ্গুর-২ গ্রামপঞ্চায়েত। সঙ্গে তারকেশ্বরের বালিগোরা-১ গ্রামপঞ্চায়েত।
এদিন বালিগোরায় পুলিশ গিয়ে দোকানপাট বন্ধ করতে বলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণার পর কিছুটা সময় দেওয়া দরকার ছিল। হঠাৎ সব বন্ধ করতে বললেই তো হয় না! স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ কোনও কথাই শুনতে চায়নি। পাল্টা লাঠিও তোলে গায়ে। এরপরই তুমুল অশান্তি, বিক্ষোভ শুরু হয় এলাকায়। এই ঘটনায় বিরাট জমায়েতও হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: ‘বাবা ভাল চাকুরি করতেন, বোনও মেধাবী’, নিজের ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতেই নাকি আইএএস সেজেছিলেন দেবাঞ্জন
স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান হারাধন মজুমদার, গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য নবকুমার পালদের বক্তব্য, পুলিশের খারাপ ব্যবহারের জন্য স্থানীয় মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এরপরই তাঁরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পরে পুলিশ স্থানীয়দের দাবি মেনে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মাঝখান থেকে চরম বিশৃঙ্খলা, লোকের জমায়েতে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও খানিকটা বেড়ে গেল।
১১টি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার পাশাপাশি চুঁচুড়ার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড, শ্রীরামপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তরপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডকেও কনটেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে।