Arambag: কোচিং সেন্টারে ছাত্রকে মেরে শাসন করেছিলেন শিক্ষক, পাল্টা অভিভাবক দিলেন শিক্ষককে ‘শিক্ষা’

Arambag: শিক্ষকের মারে ছাত্রটি মারাত্মক ভাবে আহত হয় বলে দাবি। ছাত্রটি বাড়ি ফিরে গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানায়। অভিযোগ, এরপরই আহত ছাত্রের পরিবারের লোকজন কোচিং সেন্টারে রে রে করে ছুটে যান।

Arambag: কোচিং সেন্টারে ছাত্রকে মেরে শাসন করেছিলেন শিক্ষক, পাল্টা অভিভাবক দিলেন শিক্ষককে 'শিক্ষা'
বাঁ দিকে, শিক্ষক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2023 | 2:01 PM

হুগলি: কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়তে গিয়েছিল ছেলে। সেখানে পড়া না পারায় শিক্ষকের মার জুটেছিল কপালে। বাড়িতে ফিরে বাবাকে জানায় সে কথা। এরপর কোচিংয়ে গিয়ে অভিভাবক পেটালেন শিক্ষককে। অভিযোগ ঘিরে শোরগোল আরামবাগে। মার পাল্টা মারে আহত হয়েছেন অভিভাবক-শিক্ষক দু’জনেই। বুধবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদুর এলাকায়। ঘটনার জেরে উভয়কেই চিকিৎসা করাতে হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও চাঁদুর এলাকায় কোচিং সেন্টারে পড়াতে গিয়েছিলেন শিক্ষক সামিম চৌধুরী। তিনি কোচিংয়ে পড়াচ্ছিলেন। তখন ওই এলাকারই এক ছাত্র শেখ নাসিম কোচিং ক্লাসে দুষ্টুমি করছিল বলে অভিযোগ । তখনই সামিম ওই ছাত্রকে অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও না শোনায় রেগে নাসিমকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ।

শিক্ষকের মারে ছাত্রটি মারাত্মক ভাবে আহত হয় বলে দাবি। ছাত্রটি বাড়ি ফিরে গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানায়। অভিযোগ, এরপরই আহত ছাত্রের পরিবারের লোকজন কোচিং সেন্টারে রে রে করে ছুটে যান। কেন মেরেছেন, ওই শিক্ষকের কাছে জানতে চান। তা নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি।

অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মাঝেই শিক্ষককে আচমকাই অভিভাবকরা বেধড়ক মারধর করেন। পাল্টা হাত চালান শিক্ষকও। দু’পক্ষের মারামারিতে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা প্রথমে বেধড়ক পেটায় আহত ছাত্রের পরিবারের লোকজন বলে অভিযোগ।ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়েই তাঁদের বিরত করেন। দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছাত্রের বাবার অভিযোগ, “আমার ছেলের শরীর এমনিতেই খারাপ ছিল। কিছুদিন আগেই নার্সিংহোম থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। এমন মেরেছে যে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। এই কোচিং সেন্টার যেন এখন বন্ধ থাকে।”

অন্যদিকে, শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, “ছাত্র দুষ্টুমি করলে, শিক্ষকরা মারে। সে তো শিক্ষকদের শাসন করার অধিকার রয়েছে। তা বলে বাড়ির লোক এনে শিক্ষক পেটাবে, এ কোথায় হয়?” আপাতত এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।