AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly Man wins lottery: স্ত্রীর দু’টো কিডনি বিকল, রাতারাতি ১ কোটি টাকা পেলেন দিন আনা-দিন খাওয়া কলমিস্ত্রি সুজিত

Hooghly News: দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তার অভাবের সংসার। তার স্ত্রীর কিডনির অসুখ।বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তিও রেখেছেন। কিন্তু স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন সেই অর্থ যোগাড় করতে পারছিলেন না তিনি।

Hooghly Man wins lottery: স্ত্রীর দু'টো কিডনি বিকল, রাতারাতি ১ কোটি টাকা পেলেন দিন আনা-দিন খাওয়া কলমিস্ত্রি সুজিত
সুজিত মণ্ডলImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2025 | 11:46 AM
Share

হুগলি: বাড়িতে আছেন স্ত্রী আর দুই সন্তান। অভাবের সংসার তাই স্ত্রীর কিডনির অসুখের ঠিক মতো চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। প্রয়োজন ছিল প্রচুর অর্থের। সেই টাকা জোগাড়ের যথাযথ চেষ্টাও করছিলেন। কিন্তু হচ্ছিল না। তবে হিন্দিতে একটা প্রবাদ আছে না, ‘উপরওয়ালা যাব দেতা হ্যায় তো ছাপ্পর ফাড়কে…?’ সত্যিই হয় ঈশ্বর ঢলে দিলেন তাঁকে। ধার করা টাকায় কাটা লটারিতে কোটিপতি হলেন কোন্নগরে সুজিত মণ্ডল।

মাত্র তিরিশ টাকার লটারি টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি হলেন হুগলির কোন্নগর কানাইপুর কলোনির বাসিন্দা পেশায় কল মিস্ত্রী সুজিত মণ্ডল। গত সেমবার কোন্নগর বাজার সংলগ্ন একটি লটারি কাউন্টার থেকে তিরিশ টাকায় লটারির টিকিট কেনেন সুজিত। ফল বেরতেই দেখা যায় তিনি যে টিকিট কেটেছিলেন, সেই টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার জিতেছেন। প্রথমে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে দেখেন তাঁর টিকিটেই কোটি টাকার পুরস্কার রয়েছে। আনন্দে আত্মহারা সুজিতের পরিবার।

দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তার অভাবের সংসার। তার স্ত্রীর কিডনির অসুখ।বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তিও রেখেছেন। কিন্তু স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন সেই অর্থ যোগাড় করতে পারছিলেন না তিনি। এক রাতেই ভাগ্য ফিরে তার। ১ কোটি টাকা লটারিতে জিতে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে চান সুজিত।

তিনি বলেন, “পুরস্কার জিতেছি ভাল লাগছে। ৪-৫ বছর ধরে আমি টিকিট কাটছি। এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতব এটা আশা করিনি। স্ত্রীর দুটো কিডনি খারাপ এখন তার চিকিৎসা করাব।” লটারি বিক্রেতা জানান, “ধারে টিকিট কাটে সুজিত। অনেক সময় দোকানে এসে টিকিট পছন্দ করে বলে যায় রেখে দিতে। আমি নাম লিখে টিকিট ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখি। এখনো ১৮০ টাকা পাব ওর থেকে। যে টিকিটে লটারি লেগেছে সেটা আমার ব্যাগেই ছিল। লটারি লাগতেই জানতে পারি। খুব ভাল লাগছিল। তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে সুজিতকে তার বাড়িতে গিয়ে টিকিট দিয়ে নিশ্চিন্ত হই। আমি ওকে বলেছি টিকিটের দাম এখনো বাকি, আমাকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। সে বলে ঠিক আছে।